Saturday, July 31, 2021

হাসিমুখে র‍্যাবের সঙ্গে বাসা থেকে বের হলেন ... হেলেনা জাহাঙ্গীর

 র‌্যাবের সঙ্গে হাসি মুখে বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীর।

দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান শেষে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা ১৩ মিনিটে গুলশানের ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাসা থেকে তাকে আটক করে বাইরে নিয়ে আসেন র‌্যাবের সদস্যরা। এ সময় র‌্যাবের দুজন নারী সদস্য তাকে ধরে বাইরে নিয়ে আসেন। এরপর র‍্যাবের একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে তাকে র‍্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।

হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটকের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। তার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা হয়।

এর আগে রাত ৮টার দিকে র‌্যাবের সদ্যরা হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসভবনে প্রবেশ করে। এর দুই ঘণ্টার মাথায় রাত ১০টার দিকে র‍্যাবের তিনজন নারী সদস্য ওই বাসায় প্রবেশ করেন।

এদিকে, র‍্যাব সূত্র জানায়, অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ অবৈধ জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। কোথা থেকে এই মাদক আসলো সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এজন্য তাকে র‍্যাব সদরদফতরে নেয়া হবে। অভিযান শুরুর পর র‌্যাবের গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানের পরে তাকে আটক করা হবে এবং অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সংগঠনের নীতিবহির্ভূত হওয়ায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

নামের সঙ্গে লীগ যুক্ত করে গড়ে ওঠা আওয়ামী লীগের অনুমোদনহীন একটি সংগঠনের সভাপতি পদে নাম আসার পর তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নিয়েছে দলটির মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটি।

এই উপ-কমিটিতেই সদস্য ছিলেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালক পদে থাকা হেলেনা জাহাঙ্গীর। জয়যাত্রা গ্রুপের কর্ণধার হেলেনা জাহাঙ্গীর নিজেকে আইপি টিভি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবেও পরিচয় দেন।

সম্প্রতি ফেসবুকে বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে হেলেনা জাহাঙ্গীরের নাম আসে। সব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা তিনি অস্বীকার করেছেন।






গার্মেন্টস খোলার খবরে দৌলতদিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীদের ... ভিড়

 করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আগামীকাল রোববার (১ আগস্ট) থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ খবরে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে।

শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। তবে ফেরি পারাপারের সময় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানছেন না যাত্রীরা।এদিকে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ভেঙে ভেঙে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ফেরিতে উঠছেন যাত্রীরা। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মাহেন্দ্রা, মোটরসাইকেল, অটোরিকশায় করে ঘাটে আসছেন তারা। ঢাকামুখী যাত্রীরা জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে তাদের কারখানা খুলছে। এ জন্য ভোগান্তি সত্বেও ঢাকায় আসছেন। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে আসতে হচ্ছে তাদের। একইসঙ্গে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে আটটি ফেরি চলাচল করছে। তবে ঘাটে পারের অপেক্ষায় কোনো সিরিয়াল নেই। করোনার সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এ বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিল্প-কারখানা। এরমধ্যে গার্মেন্টসসহ সব ধরনের শিল্প-কারখানা খুলে দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন মালিকরা। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান।

এরপরই শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে রফতানিমুখী সব শিল্প ও কলকারখানা আরোপিত বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখা হলো।

এদিকে, শিল্প-কারখানা খোলার অনুমতি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাধুবাদ জানিয়েছে পোশাক শিল্প পরিবার তথা বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।





Tuesday, July 27, 2021

বিধিনিষেধ চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্তই ... !

 করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে চলমান সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্তই চলবে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে করোনা নিয়ন্ত্রণে করণীয় নিয়ে বৈঠকে বসে সরকার। সেখানেই এ সিদ্ধান্ত হয়।

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় এখন সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে দেশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও সংক্রমণ-মৃত্যু কোনোটিই কমছে না। এই পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে গুরুত্বপূর্ণ এক সভায় বসে সরকার।

দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশ প্রধান, বিজিবি প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট দফতর ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সভার সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকদেরকে ব্রিফ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, চলমান লকডাউন ৫ আগস্ট পর্যন্তই চলবে। শিল্পপতিরা লকডাউননের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গার্মেন্টস খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন, আমরা সেই দাবি রাখতে পারছি না বলে জানান তিনি।

বিস্তারিত আসছে...





Friday, July 23, 2021

চাকরি বাঁচাতে পায়ে হেঁটেই ঢাকায় ফিরছে ............. মানুষ

 আবদুল বাতেন কাজ করেন ঢাকার একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানিতে। ঈদের ছুটি শেষে ঢাকা ফিরেছেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে। ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে ঢাকায় ফিরতে তার খরচ হয়েছে দুই হাজার টাকা। আমিন বাজার ব্রিজ পর্যন্ত মোটরসাইকেলে আসতে পারলেও পুলিশি বাধায় ব্রিজেই নামতে হয় তার।

শনিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলী ও আমিন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। চাকরি বাঁচাতে পায়ে হেটে, মোটরসাইকেল কিংবা সাইকেলে চড়ে ঢাকায় ফিরছেন তারা।

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। চলমান বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে চাকরি বাঁচাতে ঢাকামুখী বিভিন্ন জেলার মানুষ। কষ্ট করে ঢাকায় আসার পরও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে কর্মজীবীদের।

বাস বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ মানুষই ফিরছেন ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে। তবে প্রবেশমুখে ছিল পুলিশের কড়াকড়ি। চেকপোস্টে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা গাড়ি, মোটরসাইকেল চেক করছেন। জরুরি পরিষেবা ব্যতীত অন্য কোনো গাড়িকে শহরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

দারুস সালাম জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট সৌরভ  বলেন, ঈদ-পরবর্তী সময় তো, এজন্য রোগীর প্রেসার কম। যেহেতু এখন কোভিডের সময়, লকডাউন চলছে সেহেতু আমরা প্রত্যেকটা গাড়ি চেক করছি। চিকিৎসার গাড়ি, খাদ্য পরিবহনের গাড়ি ব্যতীত সব গাড়ি চেক করছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনীয় কারণ দেখাতে না পারে তাহলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। অপ্রয়োজনে যারা মোটরসাইকেল নিয়ে আসছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৬টা মামলা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।





Wednesday, July 7, 2021

‘ম্যাজিক মাশরুম’ সেবনে --- জীব-জন্তুর সঙ্গে কথা বলা শুরু করে তারা.

 এলএসডি ও ডিএমটির পর এবার উদ্ধার করা হয়েছে নতুন মাদক ‘ম্যাজিক মাশরুম’। এই মাদক সেবনের পর মানসিক রোগ- সাইকোসিস ছাড়াও অবিরাম হ্যালুসিনেশনের কারণ হতে পারে। এছাড়াও অনিদ্রা হয়, চোখ ফুলে যাওয়ার কারণও হতে পারে। এছাড়া এই মাদক সেবনকারীরা জীব-জন্তুর সঙ্গে কথা বলা শুরু করে। গাছ থেকে অক্সিজেন আসছে কি-না তা অনুভব করে। মাঝে মধ্যে নিজের কাছে অক্সিজেন পাচ্ছে না এমন অনুভব করলে গাছ জড়িয়ে ধরার মতো কাণ্ডও করে থাকে। এমনকি মাতৃগর্ভের স্মৃতিতেও চলে যেতে পারে।

বুধবার (৭ জুলাই) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

এর আগে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাতে র্যাব সদরদফতরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১০-এর একটি বিশেষ দল রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে মাদক চক্রের দুইজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতাররা হলেন- নাগিব হাসান অর্ণব (২৫), ও তাইফুর রশিদ জাহিদ (২৩)। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় মাদক ‘ম্যাজিক মাশরুমে’র ৫টি বারে ১২০টি স্লাইস এবং দুই বোতল বিদেশি মদ।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ম্যাজিক মাশরুম যদি কেউ ৫ থেকে ১০ মিলিগ্রাম সেবন করে তাহলে হ্যালুসিনেশন শুরু হয় এবং এর প্রতিক্রিয়া ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। এছাড়া এই মাদক সেবনকারীরা জীব-জন্তুর সঙ্গেও কথা বলা শুরু করে। কখনো কখনো অক্সিজেনের জন্য গাছ জড়িয়ে ধরার মতো কাণ্ডও করে। এই মাদক মূলত উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের তরুণেরা সেবন করে থাকে।

র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ম্যাজিক মাশরুম একটি সাইকেলেডিক (হ্যালোসিনোজেন) ড্রাগ। এই ড্রাগটি বিভিন্ন খাবারে- কেক ও চকলেট মিক্স অবস্থায় সেবন করা হয়। এছাড়াও পাউডার ক্যাপসুল হিসেবেও পাওয়া যায়। এই ড্রাগ ব্যবহারে সেবনকারীর নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এমনকি কেউ কেউ ছাদ থেকে ঝাঁপিয়েও পড়তে পারে। ম্যাজিক মাশরুম সেবনে শারীরিক ক্ষতি ছাড়াও দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে মানসিক রোগ- সাইকোসিস ছাড়াও অবিরাম হ্যালুসিনেশনের কারণ হতে পারে। এই ধরনের অপ্রচলিত ড্রাগের চাহিদা তৈরি হয় মাদক সেবীদের নতুনত্বের প্রতি আগ্রহের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, গ্রেফতার তাইফুর রশিদ জাহিন প্রথমে গাঁজা ও মদ্যপানে আসক্ত ছিল। এরপর সে ২০১৯ সালে ক্রমান্বয়ে এলএসডি, ডিএমটিসহ বিভিন্ন ধরনের সাইকেডেলিক ড্রাগ নিয়মিত সেবন ও বিক্রি করা শুরু করে। সাইকেডেলিক ড্রাগ সম্পর্কে তার আগ্রহ সৃষ্টি হলে ইন্টারনেট থেকে সেই সাইকেডেলিক ড্রাগের উপরে অনুসন্ধান শুরু করে। এভাবে সে ম্যাজিক মাশরুম সম্পর্কে অনলাইনে জানতে পারে।

র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তাইফুর রশিদ জাহিন প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ জন্মানো বিভিন্ন মাশরুমের মধ্যে সাইকেডেলিক বা ম্যাজিক মাশরুম আছে কি-না তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে সে ব্যর্থ হওয়ার পর, ডার্ক সাইটে ম্যাজিক মাশরুমের খোঁজ করতে শুরু করে। ডার্ক সাইটে ম্যাজিক মাশরুমের খোঁজ পাওয়ার পর সে বিদেশে অবস্থানরত তার বন্ধু ও পরিচিতদের ম্যাজিক মাশরুম বাংলাদেশে নিয়ে আসার অনুরোধ জানায়।

তিনি আরও বলেন, কানাডায় অবস্থানরত তার বাল্যবন্ধু গ্রেফতার নাগিব হাসান অর্ণব অধিক মুনাফা লাভের আশায় তাইফুর রশিদ জাহিনের এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। তাইফুর ম্যাজিক মাশরুমের বারগুলো বাংলাদেশে বিক্রির ব্যবস্থা করে। গত মে মাসে নাগিব ম্যাজিক মাশরুমের একটি চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তাইফুর ও নাগিব এই ম্যাজিক বারগুলি বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে। অত্যন্ত বিপদজনক এই ম্যাজিক মাশরুম সেবন করে তাইফুর নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং অত্যন্ত বীভৎসভাবে নিজেই নিজের হাতের বিভিন্ন অংশ ধারালো বস্তু দিয়ে কেটে ফেলে।

নাগিব হাসান অর্ণব বাংলাদেশে এসএসসি পর্যন্ত অধ্যয়ন করে। এ সময় তাইফুর রশিদ জাহিদ তার সহপাঠী ছিল। অর্ণব পরবর্তীতে ২০১৪ সালে কানাডায় চলে যায়। কানাডায় একটি ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়ন শেষে সেখানে চাকরি করছিল।

জিজ্ঞাসাবাদে নাগিব হাসান অর্ণব জানান, তাইফুরের সঙ্গে যোগসাজশে কানাডা থেকে তিনি ৩০টির মতো ম্যাজিক মাশরুম কিনে আনেন। এগুলো বাংলাদেশে চড়া মূল্যে বিক্রি করেন।




Sunday, July 4, 2021

জা’মিন পেয়েই পরীমনির সেই রাতের সব গো’পন তথ্য ফাঁ’স করে দিলেন ...... নাছির ইউ মাহমুদ !

 আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির সাথে ৯ জুন ​বোট ক্লা’বে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্যবসায়ী নাছির ইউ মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) জা’মি’ন লা’ভের পর শনিবার (৩ জুলাই) গণমাধ্যমের সাথে

খো’লামেলা কথা বলেছেন তিনি। নাছির ইউ মাহমুদ বলেন, একজন সেলেব্রিটিই শুধু একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে পারে না। অ’ভিনেতারা নাকি চোখে গ্লি’সা”রিন লাগিয়ে কাঁ’দতে পারে। একজন সেলেব্রিটির

অ’ভিনয়ের কারণে আজ আমি সামাজিকভাবে হে’য় প্র’তিপ’ন্ন হয়েছি। তিনি বলেন, বোট ক্লা’বের ঘটনার ৫ দিন পর একঘন্টার ব্যবধানে বহু ক্যামেরা নিয়ে তিনি (পরিমনি) ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন করলেন। প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্প’র্শকা’তর চিঠি দিলেন। পরিমনি অ’ভিযো’গ করলেন কোনো থা’না’য় তিনি রে’সপ’ন্স পাননি! অথচ তিনি বনানী থা’না’য় যখন অ’ভি’যোগ করতে যান, তখন তিনি মা’তা’ল অ’বস্থা’য় ছিলেন। যা আপনারা সিসি ক্যামে’রার মাধ্যমে বিভিন্ন টেলিভিশনে দেখেছেন।

থা’না থেকে তাকে বলা হলো আপনি সু’স্থ হয়ে আগামীকাল অ’ভিযো’গ দা’য়ে’র করেন। আপনি আর গেলেন না। আপনিতো ঘটনার আশেপাশের থা’না রূ’পনগর বা সাভা’র থা’নায়ও যেতে পারতেন। কেন যাননি? ঘটনার পাঁচদিনেও কোনো থা’না’য় অ’ভিযো’গ কেনো জানালেন না? থা’নাতো ব’ন্ধ ছিলো না। তাহলে পরিমনি কি করে বললো কোনো থা’না তাকে রে’সপ’ন্স করেনি? নাছির মাহমুদ বলেন, পরিমনি অ’ভিযো’গ করেছেন, তাকে নাকি আমি চে’ষ্টা করেছি! একটি মান’সম্ম’ত ক্লা’বে কখনই কোনো অ’নৈ’তিক কাজের সুযোগ নেই। অ’ভি’যো’গ করেছেন, আমি নাকি তাকে হ’ত্যা’র চে’ষ্টা করেছি! আমিতো তাকে এ ঘটনার আগে চিনতামই না। পরিমনি নিজেও বলেছে সে আমাকে আগে চিনতো না।

তার সাথেতো আমা’র পূর্বের কোনো শ’ত্রু’তাও ছিলো না। তবে তাকে কেনো আমি হ’ত্যা করতে যাবো? তিনি বলেন, আমি রা’জনীতি করি, সামাজিক ক’র্মকা’ণ্ডে জ’ড়িত। বিভিন্ন ক্লা’বে ‘জড়িত। আমি একজন ব্যবসায়ী। আমা’র দুঃখ একটা, সে অ’ভিযো’গ করেছে একা। অথচ, সেই সময়ে উপ’স্থিত ক্লাবের কর্মক’র্তা ও’ নি’রাপত্তায় নিয়োজিতরা কি বলেছে?

তা সঠিকভাবে ত’দ’ন্ত হচ্ছে না। সেদিন কি হয়েছিলো জানতে চাইলে অ’ভিযু’ক্ত এই ব্যবসায়ী বলেন, আমি বোট ক্লা’বের ডিসি’প্লি’নের দা’য়িত্বে ছিলাম। ৯ জুন রাত সাড়ে বারোটায় পরিমনি কয়েকজনকে নিয়ে আসে। এসে ম’দপা’ন করতে থাকেন।

এতেও কেউ বাঁ’ধা দে’ননি। কিন্তু তিনি নিজ হাত দিয়ে র‌্যা’ক থেকে তিন লিটারের ব্লুলে’ভেল হু’ই’স্কির নিতে গেলে ক্লাবের ষ্টা’ফরা বাঁ’ধা প্রদা’ন করেন। এতেই ক্ষি’প্ত হয়ে ওঠেন পরিমনি। যা কোনো স’ভ্য মানুষের দ্বারা সম্ভব নয়। এই হু’ইস্কির দাম দেড় লাখ টাকা। আর এটা সদস্য ছাড়া বিক্রয়যোগ্য নয়। কর্মচারীরা এতে বাঁ’ধা প্রদান করার পরই টেবিলে থাকা গ্লা’স, প্লে’ট ভাং’চুর করতে থাকে। ষ্টাফরা বিষয়টি আমাকে জানালে আমি পরিমনিকে এটা নিতে নি’ষে’ধ করি। সঙ্গে সঙ্গে আক’স্মি’ক ভাবে তার সামনে থাকা প্লেট ও গ্লা’স আমা’র দিকে ‘উড়িয়ে মা’রে। প্রথমটা আমা’র শ’রী’রে না লাগলেও পরেরটি আমা’র ঘা’ড়ে লাগে। তখন আমি তাদের ক্লা’ব থেকে বের হয়ে যেতে বলে পরিমনির সাথে আসা জিমি আমা’র ঘাড়ে একটি ঘু’সি মে’রে বসে।

তখন ক্লাবের আরেক সদস্য শাহ আলম জিমিকে আ’ট’ক করে। মা’রামা’রি বাঁ’ধে জিমি ও শাহ আলমের মাঝে। তখন অন্যান্য সিকিউরিটিরা তাদের আলাদা করেন। তিনি বলেন, পরিমনিরা যাওয়ার সময়ও দুই বো’ত’ল ও’য়া’ইন নিয়ে যায়। পরেরদিন এটার বিল ৮৫ হাজার টাকা পরি’শো’ধ করেন অমি। আমি চাই সত্য উ’ম্মো’চিত হোক। আইনের প্রতি আমা’র বি’শ্বা’স আছে। তারা অবশ্যই সত্য বের করবে। পরিমনির অ’ভি’যো’গ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী নাছির বলেন, সে বলেছে আমি এক বো’ত’ল ম’দ খেয়েছি, পরে এক বো’ত’ল নাছির আমাকে জো’র করে খা’ইয়ে’ছেন। এক বো’ত’লে ২০ প্যাক ম’দ থাকে। পুরো এক বো’ত’ল খেয়ে কেউ সু’স্থ থাকতে পারে না। তিনি আরো অ’ভি”যোগ করেছেন আমি নাকি তাকে ক’ফি খাওয়ার অফার করেছিলাম।

অথচ, কফিশপ ব’ন্ধ হয়ে যায় সন্ধ্যা ৬টায়। তাছাড়া বারে ক’ফি সার্ভ’ হয় না। একজন সেলেব্রিটি এমন মি’থ্যা’চা’র করতে পারেন যা সত্যিই বি’স্ম’য়কর। তিনি বলেন, একজন সেলেব্রিটিই শুধু একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে পারে না। অ’ভিনেতারা নাকি চোখে গ্লিসা”রিন লাগিয়ে কাঁদতে পারে। একজন সেলেব্রিটির অ’ভিনয়ের কারণে আজ আমি সামাজিকভাবে হেয়’প্র’তিপন্ন হয়েছি। আম’রাওতো ফে’লে দেয়ার মত নয়। সমাজে আমাদেরও অব’স্থান রয়েছে। আম’রা ব্যবসায়ীরা রা’ষ্ট্রে নিয়মিত কর দিয়ে থাকি। আমি ঢাবির একটি হলের নির্বাচিত জিএস ছিলাম। উত্তরা ক্লা’বের মত একটি দাবি ক্লা’বে তিনবার নির্বাচিত সভাপতি ছিলাম। ছিলাম জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়ার। আমাকে আ’ট’ক করার পরও কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আমা’র বি’রুদ্ধে কোনো অ’ভিযো’গ করেননি।

সারাজীবন সততার সাথে চলেছি। কারো প্রতি অবিচার করিনি। কারো টাকা আ’ত্ম’সা’ৎ করিনি। ব্যবসা করতে গিয়েও কারো সাথে কোনদিন বি’রো’ধ সৃ’ষ্টি হয়নি। ক্লা’বের সিসি ক্যা’মেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পৃথিবীর উন্নত দেশসহ কোনো দেশেই বারে সি’সি ক্যা’মে’রা থাকে না। কারণ, সমাজের উচ্চবিত্ত মানুষ যখন এসব ক্লাবে আসে তখন তারা চায়, এগুলো যাতে প্রকাশিত না হয়। প্রসঙ্গত, ১৩ জুন রাতে পরিমনি তার বনানী বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে অ’ভি’যো’গ করেন, ৯ জুন রাত ১২টার পর পরিচিত জনদের নিয়ে তিনি বোট ক্লা’বে যান। সেদিন চারজন ম’দ্য’প ব্যক্তি তাকে শা’রী’রিকভা’বে নি’র্যাত’ন করে। চ’ড়-থা’প্পড় মা’রে, গা’য়ে আ’ঘা’ত করে। এক পর্যায়ে একজন তাকে নে’শাদ্র’ব্য খাইয়ে ধ’র্ষ’ণের চে’ষ্টাও করে।তার অ’ভিযো’গ উত্ত’রা বোট ক্লাবে’র সদস্য ও উত্ত’রা ক্লাবে’র সাবেক সভাপতিও ব্যবসা’য়ী নাছির ইউ’ মাহমুদ তাকে হ’ত্যা’র চে’ষ্টাও করেন।






দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল .... ফোরকান

  অনলাইনে বিভিন্ন সিক্রেট অ্যাপ ব্যবহার করে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিতেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদ হাসান ওরফে রাজু ওরফে ইসমাঈল ...