💥💥💥..লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক স্কুলছাত্রীর আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এতে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে ওই ছাত্রী। এ ঘটনার বিচার চেয়ে সোমবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রীর মা রায়পুর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার বামনী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বামনী গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে রাছেল হোসেন, শারমিন আক্তার, জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে ইমন হোসেন শুভ ও আরিফ হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী বামনী ইউনিয়নের শামছুন্নাহার উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। সহপাঠী ইমন হোসেন তাকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বৈঠকে ওই ছাত্রীকে হয়রানি না করার জন্য ইমনকে সতর্ক করা হয়। গত ঈদুল ফিতরের দিন ইমন কৌশলে ওই ছাত্রীকে ঘুরতে নিয়ে যায়৷ এ সময় ইমনের সহযোগীরাও সঙ্গে ছিল। একপর্যায়ে ছাত্রীর গলায় ও হাতে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় তারা। এ সময় জোরপূর্বক তার কয়েকটি আপত্তিকর ছবি তোলা হয়। পরে একটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে ইমনের বাবা জাহাঙ্গীর প্রায়ই মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রীর মাকে কল দিয়ে তার ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে চাপ দেন। কিন্তু বাল্য বিয়ে দিতে নিষেধ করায় গত বৃহস্পতিবার (১১ জুন) দুপুরে সহযোগী আরিফ ডাব বিক্রেতা সেজে ওই ছাত্রীকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আরিফ পালিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীর আপত্তিকর ছবিগুলো রোববার (১৪ জুন) অপর সহযোগী রাছেল তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে। সেখানে খারাপ কিছু লেখাও পোস্ট করে রাছেল। এ ঘটনা সহ্য করতে না পেরে ওই ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
স্কুলছাত্রীর মা জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পরে তিনি মেয়েকে তার বাবার বাড়িতে রেখে ওমান চলে যান। ছুটিতে তিনি দেশে এসেছেন। এখন মেয়েকে নিয়ে তিনি দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।
এ ব্যাপারে রায়পুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কুদ্দুছ মিয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
very sad,........?
ReplyDelete