Wednesday, August 11, 2021

দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল .... ফোরকান

 অনলাইনে বিভিন্ন সিক্রেট অ্যাপ ব্যবহার করে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিতেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদ হাসান ওরফে রাজু ওরফে ইসমাঈল হাসান ওরফে ফোরকান ভাই। তারই নির্দেশনায় গত কয়েক বছরে ১০-১২টি পুলিশ বক্সে বোমা হামলার চেষ্টা চালায় নব্য জেএমবির সদস্যরা।

সবশেষ এই ফোরকান ড্রোন বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। ড্রোনের সঙ্গে বিস্ফোরক যুক্ত করে হামলার পরিকল্পনার পাশাপাশি নব্য জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান নিযুক্ত হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, পুলিশ বক্সে হামলার পরিকল্পনার সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন। আর সংগঠনের আমিরের নির্দেশে যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে সেসব হামলায় সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন তিনি।

বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) প্রধান পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসির বোম ডিসপোজাল ইউনিটের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান প্রশিক্ষক ও বোমা প্রস্তুতকারকসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে

বুধবার রাতে রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- জাহিদ হাসান ওরফে রাজু ওরফে ইসমাঈল হাসান ওরফে ফোরকান ভাই, সাইফুল ইসলাম মারুফ ওরফে বাসিরা ও মো. রুম্মান হোসেন ফাহাদ ওরফে আব্দুল্লাহ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক পদার্থ, জিআই পাইপ, রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস, লোহার বল, সাংগঠনিক কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, অনলাইনে বিভিন্ন সিক্রেট অ্যাপ ব্যবহার করে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিত ফোরকান। গত কয়েক বছরে ১০-১২টি পুলিশ বক্সে বোমা হামলার চেষ্টা চালায় নব্য জেএমবির সদস্যরা। বোমাগুলো ছিল একই প্যাটার্নের। যারা বোমাগুলো বানায় তাদের বিভিন্ন সময় অভিযানে গ্রেফতার করা হলেও নতুন করে আবার মেলে একই প্যাটার্নের বোমার খোঁজ। এ ঘটনায় তদন্তে নামে সিটিটিসি।

তিনি বলেন, সর্বশেষ এই ফোরকান ড্রোন বানানোর পরিকল্পনা করেছিল। ড্রোনের সঙ্গে এক্সপ্লোসিভ যুক্ত করে কোনো জায়গায় আক্রমণের পরিকল্পনার পাশাপাশি নব্য জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান নিযুক্ত হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, পুলিশ বক্সে হামলার পরিকল্পনার সঙ্গেও সে জড়িত ছিল। আমিরের নির্দেশে যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে সেসব হামলায় সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করে ফোরকান।

‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ফোরকান পড়ছিলেন রসায়ন বিভাগে। তার সবচেয়ে বড় পরিচিতি ছিল নব্য জেএমবির বোমা তৈরির অন্যতম কারিগর হিসেবে। সে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হতে রসায়নে অনার্স সম্পন্ন করেছে।’

সিটিটিসি প্রধান বলেন, জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হওয়ায় এবং হিজরত করায় মাস্টার্স সম্পন্ন করতে পারেনি ফোরকান। ২০১৬ সালে অনলাইনে ‘হোয়াইট হাউজের মুফতি’ নামে আইডির মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে নব্য জেএমবির তৎকালীন আমির মুসার হাত ধরে সে এই সংগঠনে যোগদান করে। আমির মুসার সঙ্গে কাজ করার সুবাদে সংগঠনের ওই সময়ের শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিদের নজরে আসে এবং তাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে কাজ করে।

‘রসায়নে পারদর্শী হওয়ার কারণে তার মেধা এবং সাহসের জন্য তাকে এই সংগঠনের সামরিক শাখার সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। রসায়নের ছাত্র হওয়ার সুবাদে সে অল্পদিনে গ্রেনেড ও বোমা বানানোর কাজে অত্যন্ত দক্ষ হয়ে ওঠে এবং নিত্য নতুন কৌশলে আইইডি প্রস্তুত করে। এই সংগঠনের যারা বোমা তৈরি করতো তাদেরকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিত এই ফোরকান।’

তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি তথা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে নব্য জিএমবির শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিরা গ্রেফতার, নিহত হলে এই সংগঠনটি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় ফোরকান গ্রেফতার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে চলে যায়। পুনরায় সে নতুন আমিরের নেতৃত্বে সংগঠনকে সংগঠিত করার উদ্যোগ নেয়। তারই অংশ হিসেবে অনলাইনে আইডি খোলার মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যারা অত্যন্ত সাহসী ও সামরিক বিভাগে কাজ করতে আগ্রহীদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের টাইম ও রিমোট কন্ট্রোল বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিত ফোরকান।

‘সংগঠনটির কার্যক্রম বিস্তৃত করার লক্ষ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একাধিকবার মিটিং করে গ্রেফতার ফোরকান। এমনকি সে শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের আওতাধীন মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে কারাতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। বড় কোনো কেমিক্যাল সাপ্লাই কোম্পানিতে চাকরি করে সেখান থেকে এক্সপ্লোসিভ প্রিকারস নিয়ে আইইডি বানানোর পরিকল্পনা ছিল তার।’

সিটিটিসি প্রধান আরও বলেন, গ্রেফতার অপর অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম মারুফ একজন দক্ষ বোমা তৈরির কারিগর। সে অনলাইনে ফোরকানের কাছ থেকে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। বেশ কয়েকটি বোমা হামলার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে সে। সাইফুল ইসলাম মারুফ এবং গ্রেফতার রুম্মান হোসেন ফাহাদ সংগঠনের সিদ্ধান্তে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার লক্ষ্যে বান্দরবান এলাকায় হিজরত করে। সংগঠনের ফান্ড তৈরির জন্য ইলেকট্রিক শক থেরাপির মাধ্যমে অজ্ঞান করে ছিনতাই ও ডাকাতি করার জন্য টঙ্গী থানার রেলগেট এলাকায় রুম ভাড়া নেয় তারা।

সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মান্নানের তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) রহমত উল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশনায় এবং মো. মাহমুদুজ্জামানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয় বলেও জানান সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান।





Saturday, August 7, 2021

পরীমনির সঙ্গে প্রেম : ডিবি থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে সাকলায়েনকে ... !

 ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির সঙ্গে ‘অনৈতিক সম্পর্কে’ জড়ানোর অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিলকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের সিদ্ধান্তে তাকে ডিবির গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের (এডিসি) দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডিবি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে তিনি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সকালে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘ডিবি কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিলের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সিআইডি।’

তিনি বলেন, ‘৬ আগস্ট আমরা মামলার ডকেট বুঝে পেয়েছি, আসামির হেফাজতও বুঝে পেয়েছি। আসামিদের মধ্যে পরীমনি, মডেল মৌ, পিয়াসা ও নজরুল ইসলাম রাজ বর্তমানে সিআইডির হেফাজতে রয়েছে। তবে হেলেনা জাহাঙ্গীর ও মিশু হাসান বর্তমানে আমাদের হেফাজতে নেই। তারা অন্য মামলার তদন্তে ডিএমপির হেফাজতে।’

পরীমনি এখন আসামি। তবে এর আগে অন্য একটা মামলায় তিনি বাদী ছিলেন। ঘটনাক্রমে একজন মামলার বাদীর সঙ্গে মামলার সুপারভাইজারের (তত্ত্বাবধায়ক) অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ তদন্তে উঠে আসবে কি-না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, ‘অবশ্যই উঠে আসবে। আমরা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করব। সেই কারণে মামলা এবং আসামি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যম ও গণমাধ্যমে যা প্রকাশ পাবে, সেই বিষয়গুলোও তদন্তের সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘সবেমাত্র আমরা তদন্ত শুরু করেছি। সুতরাং এই মুহূর্তে আমাদের পক্ষ থেকে বেশি কিছু বলা মুশকিল। সিআইডিতে যেকোনো তদন্তই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করা হয়।’

‘আমাদের ফরেনসিক ল্যাব, কেমিক্যাল ল্যাব, ডিএনএ ল্যাব ও আইটি ফরেনসিক ল্যাব রয়েছে। আমরা মামলার তদন্ত সুষ্ঠুভাবে করতে চাই। এর জন্য তদন্ত কার্যক্রমে আমাদের সময় লাগবে। ইতোমধ্যে সিআইডির হেফাজতে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে’ যোগ করেন তিনি।

পরীমনির অপর্কমের অভিযোগগুলোর সঙ্গে প্রভাবশালীরাও জড়িত, এ প্রসঙ্গে শেখ ওমর ফারুক বলেন, ‘অবশ্যই, যদি প্রভাবশালী কেউ জড়িত থাকে। তবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’





Friday, August 6, 2021

তানোরে শনিবার থেকে শুরু হবে টিকাদান কার্যক্রম .....!

 কোভিড ১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী শনিবার রাজশাহীর তানোর উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে একযোগে শুরু হবে টিকাদান কার্যক্রম। এই উপজেলায় প্রতিদিন প্রতিটি ইউনিয়নের ৩টি বুথে মোট ৬০০ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। এভাবে তিন দিনে তিন ওয়ার্ডের ১৮০০ জন পাবেন করোনার টিকা। আর মুন্ডুমালা ও তানোর পৌরসভায় একটি করে ২টি বুথে প্রতিদিন ২৫০ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নের একেকটি ওয়ার্ডের প্রতিদিন ২০০ ডোজ করোনার টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগের মতো টিকাদান কার্যক্রম চলবে। তানোরে নয়টি টিকাকেন্দ্রে থাকবে ২৩টি বুথ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বার্নাবাস হাঁসদাক। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ইউনিয়নের জন্য ৬০০ করে তিন দিনে ১৮০০ টিকা বরাদ্দ। আর প্রত্যেক পৌর এলাকার জন্য ২৫০ করে ৩ দিনে ৭৫০ টিকা বরাদ্দ। এর পরের ধাপগুলোও এভাবেই এগোবে।’
বাড়তি চাপ সম্পর্কে ডা. বার্নাবাস হাঁসদাক আরও বলেন, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের ভোটার আইডি কার্ড আছে রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে কেবল তারাই পাবেন টিকা।




Wednesday, August 4, 2021

পরীমনির কাছে পাওয়া গেল ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি - আইসও

 ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির বাসায় বিদেশি অনেক ব্র্যান্ডের মদ, ইয়াবার পাশাপাশি ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডায়েথিলামাইড) এবং আইসও (ক্রিস্টাল মেথ) পাওয়া গেছে। এ মাদক উচ্চবিত্ত ঘরের সন্তানদের সেবনের প্রবণতা বেশি।

রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় র‌্যাবের অভিযানে এসব মাদক জব্দের কথা নিউজকে নিশ্চিত করেছেন একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। ‘সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের’ ভিত্তিতে বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেলে ওই বাসায় অভিযানে যায় র‌্যাব। পরে সন্ধ্যায় পরীমনিকে আটক করা হয়। যেসব অভিযোগ রয়েছে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পরীমনিকে র‌্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, পরীমনির বাসার যাবতীয় আসবাবে থরে থরে সাজানো বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। বিদেশি ব্র্যান্ডের যত ধরনের মদ আছে প্রায় সবই সেখানে মিলেছে। ফ্রিজভর্তি ছিল নামি-দামি ব্র্যান্ডের মদ। এর পাশাপাশি এই নায়িকার বাসায় মিলেছে সর্বনাশা মাদক ইয়াবাও।

এমনকি সেখানে ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি-আইসও পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এ মাদক কারবারে কয়েকটি চক্র ও উচ্চবিত্ত ঘরের কিছু তরুণ গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের মধ্যেই এ ধরনের মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি।

এর আগে র‌্যাবের অভিযান দেখে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভ শুরু করেন পরীমনি। তিনি লাইভে অভিযোগ করেন, তার বাসায় ‘বিভিন্ন পোশাকে’ লোকজন এসে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে বলছেন। কিন্তু তিনি দরজা খুলতে ভয় পাচ্ছেন। পরে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে।’

পরীমনি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছেন। কিছুদিন আগে ঢাকার সাভারের বোটক্লাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে আলোচনায় আসেন তিনি। সে ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছিলেন, তারা আবার জামিনও পেয়ে গেছেন। এর মধ্যেই আবার একাধিক ক্লাবে পরীমনির ভাঙচুরের অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।

সম্প্রতি রাজধানী থেকে পিয়াসা ও মৌ নামে দুই মডেল গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের বাসায় বিপুল মাদক ও ইয়াবা পাওয়া গেছে।






র‌্যাব সদরদফতরে নেয়া হচ্ছে .... পরীমনিকে

 রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক নায়িকা পরীমনিকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে সেখানে।

বুধবার (৪ আগস্ট) রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে তার বাসা থেকে বের করে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র‌্যাব সদরদফতরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে বিকেল ৪টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এ আলোচিত নায়িকার বাসায় অভিযান শুরু করেন র‌্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে বাসা তাকে আটক করা হয়।

র‌্যাবের গোয়েন্দা দলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, পরীমনির বাসায় বিপুল পরিমাণ মাদক-ইয়াবা-সোনার বার পাওয়া গেছে, তাকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাকে র‌্যাবের সদরদফতরে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হবে। এর আগে র‌্যাবের অভিযান দেখে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভ শুরু করেন পরীমনি। তিনি লাইভে অভিযোগ করেন, তার বাসায় ‘বিভিন্ন পোশাকে’ লোকজন এসে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে বলছেন। কিন্তু তিনি দরজা খুলতে ভয় পাচ্ছেন।

পরে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে।’ পরীমনি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছেন। কিছুদিন আগে ঢাকার সাভারের বোটক্লাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে আলোচনায় আসেন তিনি। সে ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছিলেন, তারা আবার জামিনও পেয়ে গেছেন। এর মধ্যেই আবার একাধিক ক্লাবে পরীমনির ভাঙচুরের অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।

সম্প্রতি রাজধানী থেকে পিয়াসা ও মৌ নামে দুই মডেল গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের বাসায় বিপুল মাদক ও ইয়াবা পাওয়া গেছে।




Tuesday, August 3, 2021

দোকানপাট খুলছে ১১ আগস্ট

 করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভ্যাকসিন নেয়ার শর্তে ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে সভা শুরু হয়।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ভার্চুয়ালি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা যুক্ত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওয়ার্ড-ইউনিয়নে ৫ থেকে ৭টা কেন্দ্র করে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে দৌড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। সেখানে আমরা বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেব। কারণ বৃদ্ধ লোকদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি বলে মনে হয়েছে। একইসঙ্গে শ্রমিক, বাসের হেলপারসহ সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ কর্মস্থলে আসতে পারবেন না। ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। ভ্যাকসিন দিলেই ওয়েবসাইটে চলে যাবে। সেগুলো চেক করা হবে। ভ্যাকসিন দেয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইটে দেব। ভ্যাকসিন নিয়েছে কি না যাচাই করতে পারব। ৭, ৮, ৯ তারিখ সুযোগ রাখলাম। যাতে তারা ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা কেন্দ্র খুলতে পারেন। সময় বাড়াচ্ছি, ১০ তারিখ পর্যন্ত সুযোগ দিচ্ছি। ১১ আগস্ট থেকে যাতে খুলতে পারে সেই সুযোগ রেখেছি।’

এর আগে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল। আজ আবার নতুন করে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়ানো হলো। বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ ছিল সব ধরনের শিল্প-কারখানা। ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়া হয়। এরপরও বন্ধ রয়েছে দোকান ও শপিংমলও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।

বিধিনিষেধ দেয়ার পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা সংক্রমণ। বরং দিনকে দিন অবনতি হচ্ছে পরিস্থিতির।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ সোমবারের হিসাব অনুযায়ী, একদিনে ২৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন ১৫ হাজার ৯৮৯ জন। এর মধ্যে বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।




Sunday, August 1, 2021

‘উচ্চবিত্তদের বাসায় ডেকে ব্ল্যাকমেইল করতেন ''পিয়াসা - মৌ’'

 রাজধানীর বারিধারা থেকে মডেল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা এবং মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে অভিযান চালিয়ে মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকে (মৌ আক্তার) আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

আটক হওয়া দুই মডেল একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তারা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে মদ ও ইয়াবা খাইয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করতেন। রোববার (১ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মৌ-এর বাসার নিচে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) শাখার যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ। তিনি বলেন, ‘তারা দুইজন একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে আমরা অনেক ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ পেয়েছি। সেসব ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে আজ তাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। দুইজনের বাসায় বিদেশি মদ, ইয়াবা, সিসা পাওয়া যায়। মৌয়ের বাড়িতে মদের বারও ছিল।’

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আটক দুই মডেল হচ্ছেন রাতের রাণী। তারা দিনের বেলায় ঘুমাতেন এবং রাতে এসব কর্মকাণ্ড করতেন। উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে আনতেন তারা। বাসায় আসলে তারা তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলতেন এবং ভিডিও করে রাখতেন। পরবর্তীতে সেসব ভিডিও এবং ছবি ভিকটিমদের পরিবারকে পাঠানোর হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন এবং মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন।’আটক দুইজনের আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘তাদের বাসায় মাদক পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা হবে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ থাকায় আলাদা মামলা হবে। এসব মামলায় আমরা তাদের রিমান্ডে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করব।’





শ্রমিকদের চাপ সামলাতে সাময়িকভাবে গণপরিবহন চালু

 গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঢাকা ফেরার চাপ সামলাতে সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে গণপরিবহন চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান। ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়- গণপরিবহন ১৬ ঘণ্টা চলাচলের যে সিদ্ধান্ত হলো, এছাড়া সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত নৌযান চলাচলের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে এর সঙ্গে সড়কেও কি পরিবহন চলাচল করবে?

উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি কেবিনেট বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে। তবে আমাদের কাছে যে খবর সেটা হলো, রাতে প্রচণ্ড চাপ ছিল গার্মেন্টস শ্রমিকদের। এটা দেখে এদের যেন ঢাকায় নিয়ে আসা যায় সেজন্য একটা সাময়িক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে এটা অব্যাহত থাকবে কিনা সেটা কেবিনেট ডিভিশন জানে। তিনি বলেন, ‘বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত যেখান থেকে আসে এবং শিথিল করে এ বিষয়ে সেখানকার কর্মকর্তারাই বলতে পারবেন।’ আরেক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘টিকা দেয়ার বিষয়ে আমার সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়েছে। চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে আমরা তার (ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেয়া) ব্যবস্থা করছি। টিকা দেয়ার জন্য সবাইকে মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য অনুরোধ করছি।








Saturday, July 31, 2021

হাসিমুখে র‍্যাবের সঙ্গে বাসা থেকে বের হলেন ... হেলেনা জাহাঙ্গীর

 র‌্যাবের সঙ্গে হাসি মুখে বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীর।

দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান শেষে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা ১৩ মিনিটে গুলশানের ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাসা থেকে তাকে আটক করে বাইরে নিয়ে আসেন র‌্যাবের সদস্যরা। এ সময় র‌্যাবের দুজন নারী সদস্য তাকে ধরে বাইরে নিয়ে আসেন। এরপর র‍্যাবের একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে তাকে র‍্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।

হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটকের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। তার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা হয়।

এর আগে রাত ৮টার দিকে র‌্যাবের সদ্যরা হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসভবনে প্রবেশ করে। এর দুই ঘণ্টার মাথায় রাত ১০টার দিকে র‍্যাবের তিনজন নারী সদস্য ওই বাসায় প্রবেশ করেন।

এদিকে, র‍্যাব সূত্র জানায়, অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ অবৈধ জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। কোথা থেকে এই মাদক আসলো সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এজন্য তাকে র‍্যাব সদরদফতরে নেয়া হবে। অভিযান শুরুর পর র‌্যাবের গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানের পরে তাকে আটক করা হবে এবং অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সংগঠনের নীতিবহির্ভূত হওয়ায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

নামের সঙ্গে লীগ যুক্ত করে গড়ে ওঠা আওয়ামী লীগের অনুমোদনহীন একটি সংগঠনের সভাপতি পদে নাম আসার পর তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নিয়েছে দলটির মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটি।

এই উপ-কমিটিতেই সদস্য ছিলেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালক পদে থাকা হেলেনা জাহাঙ্গীর। জয়যাত্রা গ্রুপের কর্ণধার হেলেনা জাহাঙ্গীর নিজেকে আইপি টিভি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবেও পরিচয় দেন।

সম্প্রতি ফেসবুকে বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে হেলেনা জাহাঙ্গীরের নাম আসে। সব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা তিনি অস্বীকার করেছেন।






গার্মেন্টস খোলার খবরে দৌলতদিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীদের ... ভিড়

 করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আগামীকাল রোববার (১ আগস্ট) থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ খবরে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে।

শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। তবে ফেরি পারাপারের সময় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানছেন না যাত্রীরা।এদিকে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ভেঙে ভেঙে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ফেরিতে উঠছেন যাত্রীরা। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মাহেন্দ্রা, মোটরসাইকেল, অটোরিকশায় করে ঘাটে আসছেন তারা। ঢাকামুখী যাত্রীরা জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে তাদের কারখানা খুলছে। এ জন্য ভোগান্তি সত্বেও ঢাকায় আসছেন। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে আসতে হচ্ছে তাদের। একইসঙ্গে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে আটটি ফেরি চলাচল করছে। তবে ঘাটে পারের অপেক্ষায় কোনো সিরিয়াল নেই। করোনার সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এ বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিল্প-কারখানা। এরমধ্যে গার্মেন্টসসহ সব ধরনের শিল্প-কারখানা খুলে দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন মালিকরা। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান।

এরপরই শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে রফতানিমুখী সব শিল্প ও কলকারখানা আরোপিত বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখা হলো।

এদিকে, শিল্প-কারখানা খোলার অনুমতি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাধুবাদ জানিয়েছে পোশাক শিল্প পরিবার তথা বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।





Tuesday, July 27, 2021

বিধিনিষেধ চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্তই ... !

 করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে চলমান সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্তই চলবে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে করোনা নিয়ন্ত্রণে করণীয় নিয়ে বৈঠকে বসে সরকার। সেখানেই এ সিদ্ধান্ত হয়।

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় এখন সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে দেশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও সংক্রমণ-মৃত্যু কোনোটিই কমছে না। এই পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে গুরুত্বপূর্ণ এক সভায় বসে সরকার।

দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশ প্রধান, বিজিবি প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট দফতর ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সভার সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকদেরকে ব্রিফ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, চলমান লকডাউন ৫ আগস্ট পর্যন্তই চলবে। শিল্পপতিরা লকডাউননের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গার্মেন্টস খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন, আমরা সেই দাবি রাখতে পারছি না বলে জানান তিনি।

বিস্তারিত আসছে...





Friday, July 23, 2021

চাকরি বাঁচাতে পায়ে হেঁটেই ঢাকায় ফিরছে ............. মানুষ

 আবদুল বাতেন কাজ করেন ঢাকার একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানিতে। ঈদের ছুটি শেষে ঢাকা ফিরেছেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে। ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে ঢাকায় ফিরতে তার খরচ হয়েছে দুই হাজার টাকা। আমিন বাজার ব্রিজ পর্যন্ত মোটরসাইকেলে আসতে পারলেও পুলিশি বাধায় ব্রিজেই নামতে হয় তার।

শনিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলী ও আমিন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। চাকরি বাঁচাতে পায়ে হেটে, মোটরসাইকেল কিংবা সাইকেলে চড়ে ঢাকায় ফিরছেন তারা।

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। চলমান বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে চাকরি বাঁচাতে ঢাকামুখী বিভিন্ন জেলার মানুষ। কষ্ট করে ঢাকায় আসার পরও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে কর্মজীবীদের।

বাস বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ মানুষই ফিরছেন ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে। তবে প্রবেশমুখে ছিল পুলিশের কড়াকড়ি। চেকপোস্টে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা গাড়ি, মোটরসাইকেল চেক করছেন। জরুরি পরিষেবা ব্যতীত অন্য কোনো গাড়িকে শহরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

দারুস সালাম জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট সৌরভ  বলেন, ঈদ-পরবর্তী সময় তো, এজন্য রোগীর প্রেসার কম। যেহেতু এখন কোভিডের সময়, লকডাউন চলছে সেহেতু আমরা প্রত্যেকটা গাড়ি চেক করছি। চিকিৎসার গাড়ি, খাদ্য পরিবহনের গাড়ি ব্যতীত সব গাড়ি চেক করছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনীয় কারণ দেখাতে না পারে তাহলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। অপ্রয়োজনে যারা মোটরসাইকেল নিয়ে আসছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৬টা মামলা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।





Wednesday, July 7, 2021

‘ম্যাজিক মাশরুম’ সেবনে --- জীব-জন্তুর সঙ্গে কথা বলা শুরু করে তারা.

 এলএসডি ও ডিএমটির পর এবার উদ্ধার করা হয়েছে নতুন মাদক ‘ম্যাজিক মাশরুম’। এই মাদক সেবনের পর মানসিক রোগ- সাইকোসিস ছাড়াও অবিরাম হ্যালুসিনেশনের কারণ হতে পারে। এছাড়াও অনিদ্রা হয়, চোখ ফুলে যাওয়ার কারণও হতে পারে। এছাড়া এই মাদক সেবনকারীরা জীব-জন্তুর সঙ্গে কথা বলা শুরু করে। গাছ থেকে অক্সিজেন আসছে কি-না তা অনুভব করে। মাঝে মধ্যে নিজের কাছে অক্সিজেন পাচ্ছে না এমন অনুভব করলে গাছ জড়িয়ে ধরার মতো কাণ্ডও করে থাকে। এমনকি মাতৃগর্ভের স্মৃতিতেও চলে যেতে পারে।

বুধবার (৭ জুলাই) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

এর আগে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাতে র্যাব সদরদফতরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১০-এর একটি বিশেষ দল রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে মাদক চক্রের দুইজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতাররা হলেন- নাগিব হাসান অর্ণব (২৫), ও তাইফুর রশিদ জাহিদ (২৩)। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় মাদক ‘ম্যাজিক মাশরুমে’র ৫টি বারে ১২০টি স্লাইস এবং দুই বোতল বিদেশি মদ।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ম্যাজিক মাশরুম যদি কেউ ৫ থেকে ১০ মিলিগ্রাম সেবন করে তাহলে হ্যালুসিনেশন শুরু হয় এবং এর প্রতিক্রিয়া ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। এছাড়া এই মাদক সেবনকারীরা জীব-জন্তুর সঙ্গেও কথা বলা শুরু করে। কখনো কখনো অক্সিজেনের জন্য গাছ জড়িয়ে ধরার মতো কাণ্ডও করে। এই মাদক মূলত উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের তরুণেরা সেবন করে থাকে।

র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ম্যাজিক মাশরুম একটি সাইকেলেডিক (হ্যালোসিনোজেন) ড্রাগ। এই ড্রাগটি বিভিন্ন খাবারে- কেক ও চকলেট মিক্স অবস্থায় সেবন করা হয়। এছাড়াও পাউডার ক্যাপসুল হিসেবেও পাওয়া যায়। এই ড্রাগ ব্যবহারে সেবনকারীর নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এমনকি কেউ কেউ ছাদ থেকে ঝাঁপিয়েও পড়তে পারে। ম্যাজিক মাশরুম সেবনে শারীরিক ক্ষতি ছাড়াও দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে মানসিক রোগ- সাইকোসিস ছাড়াও অবিরাম হ্যালুসিনেশনের কারণ হতে পারে। এই ধরনের অপ্রচলিত ড্রাগের চাহিদা তৈরি হয় মাদক সেবীদের নতুনত্বের প্রতি আগ্রহের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, গ্রেফতার তাইফুর রশিদ জাহিন প্রথমে গাঁজা ও মদ্যপানে আসক্ত ছিল। এরপর সে ২০১৯ সালে ক্রমান্বয়ে এলএসডি, ডিএমটিসহ বিভিন্ন ধরনের সাইকেডেলিক ড্রাগ নিয়মিত সেবন ও বিক্রি করা শুরু করে। সাইকেডেলিক ড্রাগ সম্পর্কে তার আগ্রহ সৃষ্টি হলে ইন্টারনেট থেকে সেই সাইকেডেলিক ড্রাগের উপরে অনুসন্ধান শুরু করে। এভাবে সে ম্যাজিক মাশরুম সম্পর্কে অনলাইনে জানতে পারে।

র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তাইফুর রশিদ জাহিন প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ জন্মানো বিভিন্ন মাশরুমের মধ্যে সাইকেডেলিক বা ম্যাজিক মাশরুম আছে কি-না তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে সে ব্যর্থ হওয়ার পর, ডার্ক সাইটে ম্যাজিক মাশরুমের খোঁজ করতে শুরু করে। ডার্ক সাইটে ম্যাজিক মাশরুমের খোঁজ পাওয়ার পর সে বিদেশে অবস্থানরত তার বন্ধু ও পরিচিতদের ম্যাজিক মাশরুম বাংলাদেশে নিয়ে আসার অনুরোধ জানায়।

তিনি আরও বলেন, কানাডায় অবস্থানরত তার বাল্যবন্ধু গ্রেফতার নাগিব হাসান অর্ণব অধিক মুনাফা লাভের আশায় তাইফুর রশিদ জাহিনের এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। তাইফুর ম্যাজিক মাশরুমের বারগুলো বাংলাদেশে বিক্রির ব্যবস্থা করে। গত মে মাসে নাগিব ম্যাজিক মাশরুমের একটি চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তাইফুর ও নাগিব এই ম্যাজিক বারগুলি বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে। অত্যন্ত বিপদজনক এই ম্যাজিক মাশরুম সেবন করে তাইফুর নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং অত্যন্ত বীভৎসভাবে নিজেই নিজের হাতের বিভিন্ন অংশ ধারালো বস্তু দিয়ে কেটে ফেলে।

নাগিব হাসান অর্ণব বাংলাদেশে এসএসসি পর্যন্ত অধ্যয়ন করে। এ সময় তাইফুর রশিদ জাহিদ তার সহপাঠী ছিল। অর্ণব পরবর্তীতে ২০১৪ সালে কানাডায় চলে যায়। কানাডায় একটি ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়ন শেষে সেখানে চাকরি করছিল।

জিজ্ঞাসাবাদে নাগিব হাসান অর্ণব জানান, তাইফুরের সঙ্গে যোগসাজশে কানাডা থেকে তিনি ৩০টির মতো ম্যাজিক মাশরুম কিনে আনেন। এগুলো বাংলাদেশে চড়া মূল্যে বিক্রি করেন।




Sunday, July 4, 2021

জা’মিন পেয়েই পরীমনির সেই রাতের সব গো’পন তথ্য ফাঁ’স করে দিলেন ...... নাছির ইউ মাহমুদ !

 আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির সাথে ৯ জুন ​বোট ক্লা’বে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্যবসায়ী নাছির ইউ মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) জা’মি’ন লা’ভের পর শনিবার (৩ জুলাই) গণমাধ্যমের সাথে

খো’লামেলা কথা বলেছেন তিনি। নাছির ইউ মাহমুদ বলেন, একজন সেলেব্রিটিই শুধু একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে পারে না। অ’ভিনেতারা নাকি চোখে গ্লি’সা”রিন লাগিয়ে কাঁ’দতে পারে। একজন সেলেব্রিটির

অ’ভিনয়ের কারণে আজ আমি সামাজিকভাবে হে’য় প্র’তিপ’ন্ন হয়েছি। তিনি বলেন, বোট ক্লা’বের ঘটনার ৫ দিন পর একঘন্টার ব্যবধানে বহু ক্যামেরা নিয়ে তিনি (পরিমনি) ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন করলেন। প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্প’র্শকা’তর চিঠি দিলেন। পরিমনি অ’ভিযো’গ করলেন কোনো থা’না’য় তিনি রে’সপ’ন্স পাননি! অথচ তিনি বনানী থা’না’য় যখন অ’ভি’যোগ করতে যান, তখন তিনি মা’তা’ল অ’বস্থা’য় ছিলেন। যা আপনারা সিসি ক্যামে’রার মাধ্যমে বিভিন্ন টেলিভিশনে দেখেছেন।

থা’না থেকে তাকে বলা হলো আপনি সু’স্থ হয়ে আগামীকাল অ’ভিযো’গ দা’য়ে’র করেন। আপনি আর গেলেন না। আপনিতো ঘটনার আশেপাশের থা’না রূ’পনগর বা সাভা’র থা’নায়ও যেতে পারতেন। কেন যাননি? ঘটনার পাঁচদিনেও কোনো থা’না’য় অ’ভিযো’গ কেনো জানালেন না? থা’নাতো ব’ন্ধ ছিলো না। তাহলে পরিমনি কি করে বললো কোনো থা’না তাকে রে’সপ’ন্স করেনি? নাছির মাহমুদ বলেন, পরিমনি অ’ভিযো’গ করেছেন, তাকে নাকি আমি চে’ষ্টা করেছি! একটি মান’সম্ম’ত ক্লা’বে কখনই কোনো অ’নৈ’তিক কাজের সুযোগ নেই। অ’ভি’যো’গ করেছেন, আমি নাকি তাকে হ’ত্যা’র চে’ষ্টা করেছি! আমিতো তাকে এ ঘটনার আগে চিনতামই না। পরিমনি নিজেও বলেছে সে আমাকে আগে চিনতো না।

তার সাথেতো আমা’র পূর্বের কোনো শ’ত্রু’তাও ছিলো না। তবে তাকে কেনো আমি হ’ত্যা করতে যাবো? তিনি বলেন, আমি রা’জনীতি করি, সামাজিক ক’র্মকা’ণ্ডে জ’ড়িত। বিভিন্ন ক্লা’বে ‘জড়িত। আমি একজন ব্যবসায়ী। আমা’র দুঃখ একটা, সে অ’ভিযো’গ করেছে একা। অথচ, সেই সময়ে উপ’স্থিত ক্লাবের কর্মক’র্তা ও’ নি’রাপত্তায় নিয়োজিতরা কি বলেছে?

তা সঠিকভাবে ত’দ’ন্ত হচ্ছে না। সেদিন কি হয়েছিলো জানতে চাইলে অ’ভিযু’ক্ত এই ব্যবসায়ী বলেন, আমি বোট ক্লা’বের ডিসি’প্লি’নের দা’য়িত্বে ছিলাম। ৯ জুন রাত সাড়ে বারোটায় পরিমনি কয়েকজনকে নিয়ে আসে। এসে ম’দপা’ন করতে থাকেন।

এতেও কেউ বাঁ’ধা দে’ননি। কিন্তু তিনি নিজ হাত দিয়ে র‌্যা’ক থেকে তিন লিটারের ব্লুলে’ভেল হু’ই’স্কির নিতে গেলে ক্লাবের ষ্টা’ফরা বাঁ’ধা প্রদা’ন করেন। এতেই ক্ষি’প্ত হয়ে ওঠেন পরিমনি। যা কোনো স’ভ্য মানুষের দ্বারা সম্ভব নয়। এই হু’ইস্কির দাম দেড় লাখ টাকা। আর এটা সদস্য ছাড়া বিক্রয়যোগ্য নয়। কর্মচারীরা এতে বাঁ’ধা প্রদান করার পরই টেবিলে থাকা গ্লা’স, প্লে’ট ভাং’চুর করতে থাকে। ষ্টাফরা বিষয়টি আমাকে জানালে আমি পরিমনিকে এটা নিতে নি’ষে’ধ করি। সঙ্গে সঙ্গে আক’স্মি’ক ভাবে তার সামনে থাকা প্লেট ও গ্লা’স আমা’র দিকে ‘উড়িয়ে মা’রে। প্রথমটা আমা’র শ’রী’রে না লাগলেও পরেরটি আমা’র ঘা’ড়ে লাগে। তখন আমি তাদের ক্লা’ব থেকে বের হয়ে যেতে বলে পরিমনির সাথে আসা জিমি আমা’র ঘাড়ে একটি ঘু’সি মে’রে বসে।

তখন ক্লাবের আরেক সদস্য শাহ আলম জিমিকে আ’ট’ক করে। মা’রামা’রি বাঁ’ধে জিমি ও শাহ আলমের মাঝে। তখন অন্যান্য সিকিউরিটিরা তাদের আলাদা করেন। তিনি বলেন, পরিমনিরা যাওয়ার সময়ও দুই বো’ত’ল ও’য়া’ইন নিয়ে যায়। পরেরদিন এটার বিল ৮৫ হাজার টাকা পরি’শো’ধ করেন অমি। আমি চাই সত্য উ’ম্মো’চিত হোক। আইনের প্রতি আমা’র বি’শ্বা’স আছে। তারা অবশ্যই সত্য বের করবে। পরিমনির অ’ভি’যো’গ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী নাছির বলেন, সে বলেছে আমি এক বো’ত’ল ম’দ খেয়েছি, পরে এক বো’ত’ল নাছির আমাকে জো’র করে খা’ইয়ে’ছেন। এক বো’ত’লে ২০ প্যাক ম’দ থাকে। পুরো এক বো’ত’ল খেয়ে কেউ সু’স্থ থাকতে পারে না। তিনি আরো অ’ভি”যোগ করেছেন আমি নাকি তাকে ক’ফি খাওয়ার অফার করেছিলাম।

অথচ, কফিশপ ব’ন্ধ হয়ে যায় সন্ধ্যা ৬টায়। তাছাড়া বারে ক’ফি সার্ভ’ হয় না। একজন সেলেব্রিটি এমন মি’থ্যা’চা’র করতে পারেন যা সত্যিই বি’স্ম’য়কর। তিনি বলেন, একজন সেলেব্রিটিই শুধু একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে পারে না। অ’ভিনেতারা নাকি চোখে গ্লিসা”রিন লাগিয়ে কাঁদতে পারে। একজন সেলেব্রিটির অ’ভিনয়ের কারণে আজ আমি সামাজিকভাবে হেয়’প্র’তিপন্ন হয়েছি। আম’রাওতো ফে’লে দেয়ার মত নয়। সমাজে আমাদেরও অব’স্থান রয়েছে। আম’রা ব্যবসায়ীরা রা’ষ্ট্রে নিয়মিত কর দিয়ে থাকি। আমি ঢাবির একটি হলের নির্বাচিত জিএস ছিলাম। উত্তরা ক্লা’বের মত একটি দাবি ক্লা’বে তিনবার নির্বাচিত সভাপতি ছিলাম। ছিলাম জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়ার। আমাকে আ’ট’ক করার পরও কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আমা’র বি’রুদ্ধে কোনো অ’ভিযো’গ করেননি।

সারাজীবন সততার সাথে চলেছি। কারো প্রতি অবিচার করিনি। কারো টাকা আ’ত্ম’সা’ৎ করিনি। ব্যবসা করতে গিয়েও কারো সাথে কোনদিন বি’রো’ধ সৃ’ষ্টি হয়নি। ক্লা’বের সিসি ক্যা’মেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পৃথিবীর উন্নত দেশসহ কোনো দেশেই বারে সি’সি ক্যা’মে’রা থাকে না। কারণ, সমাজের উচ্চবিত্ত মানুষ যখন এসব ক্লাবে আসে তখন তারা চায়, এগুলো যাতে প্রকাশিত না হয়। প্রসঙ্গত, ১৩ জুন রাতে পরিমনি তার বনানী বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে অ’ভি’যো’গ করেন, ৯ জুন রাত ১২টার পর পরিচিত জনদের নিয়ে তিনি বোট ক্লা’বে যান। সেদিন চারজন ম’দ্য’প ব্যক্তি তাকে শা’রী’রিকভা’বে নি’র্যাত’ন করে। চ’ড়-থা’প্পড় মা’রে, গা’য়ে আ’ঘা’ত করে। এক পর্যায়ে একজন তাকে নে’শাদ্র’ব্য খাইয়ে ধ’র্ষ’ণের চে’ষ্টাও করে।তার অ’ভিযো’গ উত্ত’রা বোট ক্লাবে’র সদস্য ও উত্ত’রা ক্লাবে’র সাবেক সভাপতিও ব্যবসা’য়ী নাছির ইউ’ মাহমুদ তাকে হ’ত্যা’র চে’ষ্টাও করেন।






Wednesday, June 30, 2021

ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসার আগে যেসব বিষয়ে ভাবতে হবে..........!

 বিশ্বজুড়ে ফ্রিল্যান্সিং এখন আয়ের অন্যতম মাধ্যম। বিভিন্ন দেশে অনেকেই চাকরি না করে ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভাবছেন। কারণ ফ্রিল্যান্সিংয়ে একদিকে যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে তেমনি আয়ের পরিমাণও বেশ ভালো।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজের স্থান ও সময়ের কোনো বাঁধাধরা নিয়ম থাকে না বলে অনেকেই এ পেশায় আসতে আগ্রহী। কিন্তু এ পেশায় আসার আগে এ ক্ষেত্রের চ্যালেঞ্জগুলোও জেনে রাখা দরকার। এ পেশায় এলে একাকিত্ব, রাত জাগা নিত্যসঙ্গী হয়ে যায়। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

অনেক ফ্রিল্যান্সার মনে করেন, অনেক সময় ক্লায়েন্টের বেঁধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে হয় বলে ফ্রিল্যান্সারকে দিন-রাত পরিশ্রম করতে হয়। এ ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং কাজ সব সময় হাতে না–ও থাকতে পারে। কাজের জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়। ফলে যারা চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান, তাদের জন্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।

ফ্রিল্যান্সিং পেশা আপনাকে একাকী করে দেবে। আপনার জীবনযাপন অন্যদের চেয়ে আলাদা হয়ে যাবে। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে। একটানা রাতের বেলা জেগে কাজ করতে হবে। আপনার কাজে সহকর্মী না থাকায় নির্দিষ্ট সময় অফিসে যাওয়া লাগবে না। কাজের সময় তাই অফিসের পরিবেশ পাবেন না। তাত্ত্বিকভাবে এটা ভালো শোনালেও প্রকৃতপক্ষে আপনি একাকী হয়ে যাবেন।

আপনার একাকিত্ব দূর করতে সাপোর্ট নেটওয়ার্ক থাকা দরকার। এতে দিনের বেলা বা অন্য সময় গল্প-গুজব বা আড্ডা দিতে পারেন। তা না হলে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন। এজন্য আপনাকে সবার সাথে সম্পর্ক রক্ষার বিষয়ে নজর দিতে হবে।

আপনি যখন বড় কোম্পানিতে কাজ করেন, তখন অনেক জটিল অর্থনৈতিক বিষয় কোম্পানি ঠিক করে রাখে। বিশেষ করে বেতন ও ট্যাক্সের মতো বিষয়টি। যখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো স্বাধীন কাজের সঙ্গে যুক্ত হবেন, তখন নিজের অর্থ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে।

সঠিক সময়ে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করার পাশাপাশি অর্থ জমানোর মতো বিষয়গুলোতে দৃষ্টি দেয়া দরকার। চাকরি শেষে যেমন পেনশনের সুবিধা থাকে, তেমনি নিজের কাজের শেষ বছরান্তে যাতে অর্থ গচ্ছিত থাকে, সে বিষয়টিতে ফ্রিল্যান্সারকে নজর দিতে হবে।

আপনি যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। অসুস্থ হলে চাকরিতে ছুটি পাওয়া যায়। আপনার কাজের জন্য অসুস্থতাজনিত বিরতি বা বছর শেষে বেড়ানোর মতো সময় রাখবেন। একটা কথা মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করলে তবে অর্থ পাবেন। যদি কাজ না করেন, তবে সে সময়গুলোতে আপনার অর্থ আসবে না। তাই ফ্রিল্যান্সিং বা স্ব–উদ্যোগে কাজ করার আগে থেকে অর্থ জমানোর অভ্যাস করা জরুরি।

আপনার অনেক সময় কাজ শুরু করার সময় হাতে অর্থ না–ও থাকতে পারে। কোন মাসে কত আয় করবেন, তারও কোনো বাঁধাধরা নিয়ম থাকে না। কোনো মাসে অনেক আয় আসতে পারে, আবার কোনো মাস একেবারে শূন্য যেতে পারে। তাই আয় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে একটা ভারসাম্য রাখা অবশ্যই উচিত। এ ছাড়া নিজের জন্য ছুটি রাখার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত।

আপনারা যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যাচ্ছেন, তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং বেশ কঠিন। কাজ পাওয়া এখন অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে যারা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত ও যাদের অনেক কাজদাতা প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের সুবিধাও বৃদ্ধি পেয়েছে।ফ্রিল্যান্সিং দক্ষ ব্যক্তিদের প্রতিযোগিতার জায়গা। এ ক্ষেত্রে সীমিত দক্ষতা নিয়ে টিকে থাকা কঠিন। আপনি কাজের ক্ষেত্র নষ্ট করলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। তাই কাজ না জেনে এ ক্ষেত্রে আসা উচিত হবে না।

বাড়িতে বসে কাজ করার বিষয়টি আকর্ষণীয় হতে পারে। তবে এ কাজ শুরুর আগে এ ক্যারিয়ারে আসার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন। ফাইবার, আপওয়ার্কের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর কারণে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রি, যেমন ডিজাইন, মিউজিক ও অডিওর পাশাপাশি প্রোগ্রামিং ও টেক খাতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ব্যাপক কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে এ খাতে ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবার আগে আপনি কোন খাতে ভালো করবেন, সেটি ভাবুন।

অনেক সময় ফ্রিল্যান্সিং খাতে কাজ করতে এসে ফ্রিল্যান্সাররা হতাশ হন। এমন সময়ে নিজের দায়িত্ব নিজেকে নিতে হবে। ফ্রিল্যান্সার মানে নিজের ব্যবসা, নিজেই ব্যবস্থাপক, নিজেই হিসাবরক্ষক। নিজের সঙ্গে মিটিং করতে হবে। সময়সীমার মধ্যে কাজ করার তাড়া থাকতে হবে। ক্রেতার প্রত্যাশা পূরণের তাড়া থাকতে হবে। অর্থাৎ, সব সময় নিজেকে কাজের চাপ, যোগাযোগের মতো বিষয়ে তটস্থ থাকতে হবে।

অনেক সময় হাতে কাজ না থাকতে পারে, তখন হতাশ হলে চলবে না। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি কাজে উত্থান-পতন থাকে। নিজেকে নিজেই মোটিভেট করতে হবে। নিজের কাজের প্রতি সদিচ্ছা ও আত্মনিয়োগ আপনাকে এগিয়ে রাখবে। নিজের কাজে শৃঙ্খলা থাকলে, স্বাধীন ও নমনীয় সময়ে কাজ করার সুবিধাও নিতে পারবেন। তাই ভেবেচিন্তে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতে হবে।




দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল .... ফোরকান

  অনলাইনে বিভিন্ন সিক্রেট অ্যাপ ব্যবহার করে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিতেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদ হাসান ওরফে রাজু ওরফে ইসমাঈল ...