Monday, May 31, 2021

বাংলাদেশি তরুণীকে যৌন নির্যাতন, আসামিদের ফেরত দেবে ভারত.... ?

 সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণীকে বিবস্ত্র করে তিন-চারজন যুবকের শারীরিক ও বিকৃত যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওটি ধারণ করা হয় ভারতের কেরালা রাজ্যে। এ ঘটনার মূলহোতা রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় বাবুসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। এছাড়াও সর্বশেষ গত ২৮ মে যৌন নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশি সেই তরুণীকে উদ্ধার করে ব্যাঙ্গালুরু পুলিশ। এ ঘটনায় দুই দেশেই পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়।

বাংলাদেশি আসামি ও ভুক্তভোগী তরুণীকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে গত কয়েকদিন আলোচনা হলে আদৌ ভারত আসামিদের বাংলাদেশে পাঠাবে কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নৃশংস ঘটনাটি যেহেতু ভারতের মাটিতে ঘটেছে এবং সেই দেশে মামলাও হয়েছে সেক্ষেত্রে ভারতের আইন অনুযায়ী বিচার হওয়ার কথা রয়েছে।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলছেন, জড়িতদের ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে পুলিশ সদর দফতরের সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হচ্ছে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে ভারতেও মামলা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু তারা বাংলাদেশি এবং এখানে মামলা হয়েছে তাই তাদের ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

তবে পুলিশ সদর দফতর বলছে, যখন কোনো দেশে অপরাধ সংঘটিত হয় তখন সেই দেশের আইন অনুযায়ী বিচার হয়। বাংলাদেশেও অনেক বিদেশি অপরাধী রয়েছে। তাদেরও বাংলাদেশের আইনে বিচার চলমান। তাদেরকে স্ব-দেশে ফিরিয়ে দেয়া হয়নি। এ ঘটনায় ভারতে অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে এবং মামলাও হয়েছে সুতরাং তাদের দেশের আইনেই বিচার হওয়ার কথা।

পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা যায়, ভিডিও ভাইরালের পর ভারতেও বিষয়টি আলোচিত হয়। পরে ভারতীয় পুলিশ দ্রুত সময়ে তাদের গ্রেফতার করে। ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধারসহ মূল অভিযুক্ত টিকটক হৃদয় এবং আরও চারজনকে গ্রেফতারের তথ্য পাওয়া গেছে। যারা প্রত্যেকেই অবৈধভাবে ভারতে গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের কাছে ভিসা কিংবা পাসপোর্ট কিছুই ছিল না। এই বিষয়গুলো বিবেচনা করলে দেখা যাবে, আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি জটিল। একদিকে, ভারতের মাটিতে নৃশংস অপরাধ, অন্যদিকে আসামিদের কাছে ভিসা কিংবা পাসপোর্ট কিছুই ছিল না। একটি অপরাধ তদন্ত করতে গিয়ে আরও কয়েকটি অপরাধ সামনে চলে আসতে পারে।

সূত্রে আরও জানা যায়, ভারত থেকে আসামি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আইনের মাধ্যমেই ব্যবস্থা করতে হবে। তবে বাংলাদেশি আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি উভয় দেশের বিদ্যমান আইনের আলোকে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশি আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি উভয় দেশের বিদ্যমান আইনের আলোকে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পক্রিয়া হবে। দুই দেশের পুলিশ এক্ষেত্রে মামলা সংক্রান্ত দালিলিক ও সংশ্লিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদন করবে।

যেভাবে ভারতে পাচার হয় ভুক্তভোগী তরুণী

ভারতে যৌন নির্যাতনের শিকার নারীর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর থানা এলাকায়। দরিদ্র পরিবারে জন্ম বলে মাত্র তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত তিনি পড়ালেখা করতে পেরেছেন। ২০১৪ সালে প্রেম করে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের কুয়েত প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ওই নারীকে শ্বশুরবাড়ির কেউ মেনে নেয়নি। তাকে বিভিন্ন সময় শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন ও অত্যাচার সহ্য করতে হতো। যে কারণে তিনি বিয়ের প্রায় ৫ বছর পর পর্যন্ত বাবার বাড়ি কিশোরঞ্জে থাকতেন। স্বামীও কোনো খোঁজ খবর নিত না। বাবার আর্থিক অনাটনের কথা চিন্তা করে ওই নারী সৌদি আরব যাওয়ার চিন্তা করেন। ঢাকায় কয়েক মাস হাতিঝিল এলাকায় ছিলেন। ঢাকায় থাকা অবস্থায় সৌদি যাওয়ার জন্য একবার এক দালালকে ত্রিশ হাজার টাকাও দেন ওই নারী ও তার বাবা। তবে দালাল তাদের টাকা আত্মসাৎ করে। এরপর কাউকে কিছু না জানিয়ে কয়েকমাস আগে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান ওই নারী। তার ৪ বছরের একটি পুত্র সন্তান আছে। সে বর্তমানে চাঁদপুরে তার দাদা-দাদির কাছে রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, টিকটক হৃদয়ের সঙ্গে ওই নারীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়, হৃদয় তাকে ভালো বেতনে চাকরিসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করে। এরপর সেখানে যৌন ব্যবসা করতে বাধ্য করা হয়।

কে এই টিকটক হৃদয়?

রাজধানীর মগবাজার ও হাতিরঝিল এলাকায় টিকটক হৃদয়কে সবাই বখাটে হিসেবে চেনে। সে গ্রুপ নিয়ে হাতিরঝিল এলাকায় টিকটক করে বেড়াতো। কোনো কাজ করতো না, সারাদিন বন্ধুদের নিয়ে টিকটক ভিডিও তৈরি করতো। কোনো কাজ না করার কারণে তার মা তাকে চার মাস আগে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ধারণা করা হচ্ছে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার কিছুদিন পরই হৃদয় ভারতে চলে যায়। দেশে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে রমনা থানায় ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা হয়েছিল।

যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর হৃদয়ের খোঁজে পুলিশ তাদের বাসায় যায়। এরপর হৃদয়কে তারা ভিডিও দেখে শনাক্ত করে।

বুধবার রাতে হাতিরঝিল থানা পুলিশ হৃদয়ের বাসায় গিয়ে তল্লাশি চালায়। তখন তার জেএসসির এডমিট কার্ড, রেজিস্টেশন কার্ড ও একটি জাতীয় পরিচয় পত্র জব্দ করে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তার বাবা মা, মামা ও চাচাদের। রাতে তাদের অনেককেই থানায় নিয়ে আসা হয়।

মামা ফরহাদ হোসেনের মোবাইল দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে টিকটক হৃদয়ের সঙ্গে ছদ্মবেশে বুধবার রাতে যোগাযোগ করে পুলিশ। পুলিশ তাকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে, হৃদয় জানায় ঘটনাটি ১৫/১৬ দিন আগের। তারা ভারতের পুনেতে রয়েছে।

এরপর বাংলাদেশের পুলিশ ভারতের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ভারতের পুলিশ অভিযান শুরু করে। বৃহস্পতিবার হৃদয়সহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে ভারতের বেঙ্গালুরুর পুলিশ।

এদিকে, শুক্রবার (২৮ মে) ভারতে যৌন নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশি সেই তরুণীকে উদ্ধার করেছে ব্যাঙ্গালুরু পুলিশ।

দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতেই তরুণীদের ভারতে পাচার

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ভারতে এক বাংলাদেশি তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরালের ঘটনা তদন্তে নেমে আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। ভারতে এ চক্রটির মূল আস্তানা ব্যাঙ্গালুরুর আনন্দপুর এলাকায়। মূলত দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতেই বিভিন্ন বয়সী তরুণীদের ভারতে পাচার করা হয়। তারা সেখানকার স্থানীয় কিছু হোটেলের সাথে চুক্তিতে টাকার বিনিময়ে নারী সরবরাহ করে।

তিনি বলেন, পাচার হওয়া তরুণীদের দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতে তাদের নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে বিবস্ত্র করে ছবি-ভিডিও করা হয় কিংবা নির্যাতন করা হয়। তাদের কথামতো অনৈতিক কাজ করতে রাজি না হলে সেসব ছবি-ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। তাদের হাতে রাখতে এবং বাধ্যতামূলকভাবে অনৈতিক কাজ করতে এটা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের কৌশল।

ডিসি শহিদুল্লাহ বলেন, ভিডিও ভাইরালের পর ভারতেও বিষয়টি আলোচিত হয়। পরে ভারতীয় পুলিশ দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে। ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধারসহ মূল অভিযুক্ত টিকটক হৃদয় এবং আরও চারজনকে গ্রেফতারের তথ্য পাওয়া গেছে। যারা প্রত্যেকেই অবৈধভাবে ভারতে গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের কাছে ভিসা-পাসপোর্ট কিছুই ছিল না।

তিনি আরও বলেন, টিকটকের একটি গ্রুপের অ্যাডমিনের তত্ত্বাবধানে গত বছরের শেষ দিকে ঢাকার পাশের একটি জেলায় পুলপার্টির আয়োজন করা হয়। ওই পার্টিতে প্রায় ৭০০-৮০০ তরুণ-তরুণী অংশ নেন। এই গ্রুপ থেকেই নারীদের টার্গেট করে বিভিন্ন মার্কেট, সুপারশপ, বিউটি পার্লারে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভনে পাচার করা হয়।

ভারতের ওই তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে এ চক্রের মাধ্যমে আরও অনেক তরুণী পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে। এর সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পাচার হওয়া তরুণীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এমন আরও গ্রুপ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়গুলো ধারাবাহিকভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।







Friday, May 28, 2021

ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে জন্ম তিন শতাধিক শিশুর, অনেকেরই নাম .... '' ‘ইয়াস’ ''

 ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সবচেয়ে বেশি তাণ্ডবে চালিয়েছে ভারতের ওড়িশা রাজ্যে। মঙ্গলবার (২৫ মে) রাত থেকেই সেখানকার উপকূলীয় অঞ্চলে তাণ্ডব দেখাতে শুরু করেছিল ইয়াস। প্রকৃতি যখন তার নিষ্ঠুর খেলা দেখাচ্ছে এবং স্থানীয় প্রশাসন যখন ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে ব্যস্ত ঠিক তখনই স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার সকালে রাজ্যটিতে জন্ম নিয়েছে প্রায় তিন শতাধিক শিশু।

ভারতীয় গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে, এসব নবজাতকের বেশিরভাগেরই বাবা-মা তাদের নাম রাখতে চান ‘ইয়াস’।

ওড়িশার বালাসোরের বাসিন্দা সোনালী মাইতি জানান, সন্তানের জন্য ইয়াসের চেয়ে ভালো নাম তিনি ভাবতেই পারছেন না। একইভাবে কেন্দ্রপাড়া এলাকার সরস্বতী বৈরাগী বলছেন, তিনি ঝড়ের পরেই নিজের সদ্যজাত মেয়ের নাম ‘ইয়াস’ রেখেছিলেন। এইভাবে প্রত্যেকে তাঁদের নবজাতকের আগমনের সময়টিকে স্মরণীয় রাখতে চেয়ে ঘূর্ণিঝড়ের নামেই নাম দিতে চান।

স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম।

আরেক নবজাতকের মা বলেন, ‘আমার সন্তান এই দিনটিতে পৃথিবীতে এসেছিল যা সবার মনে পড়বে। আমি তার নাম রাখলাম ইয়াস।’

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নামটির নামকরণ করেছিল ওমান। যার অর্থ দুঃখ। পারসি ভাষা থেকে এই শব্দটি এসেছে।

ইয়াস চলাকালীন সময়ে ওড়িশা অনেক গর্ভবতী নারী আশ্রয়কেন্দ্রে সন্তান জন্ম দিয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস ও প্রবল স্রোতে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বনবিভাগের কয়েকটি জলযান, ওয়াচ টাওয়ার, গোলঘর, রাস্তা, ফুট রেইল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে ডুবে মারা গেছে অন্তত চারটি হরিণ।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ইয়াসের প্রভাব শুরু হওয়ার পর থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদী ও খালগুলোর পানি বাড়তে থাকে। বুধবার প্রায় ৫-৬ ফুট পর্যন্ত পানি উঠে যায় সুন্দরবনে। পানির তোড়ে পূর্ব সুন্দরবনের ১৯টি জেটি, ৬টি জলযান (ট্রলার), দুটি গোলঘর, একটি ফুট রেইল, একটি ওয়াচ টাওয়ার, চারটি স্টাফ ব্যারাক ও একটি রেস্ট হাউজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে কক্সবাজারে আড়াই হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও জেলার বিভিন্ন স্থানে বাঁধের অন্তত ১৪টি স্থান ভেঙে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ এ তথ্য জানান।




Saturday, May 22, 2021

কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই)

 ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি চালু করে। কম্পিউটার প্রকৌশলীদের ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল সফটওয়ার ডিজাইন ও হার্ডওয়ার-সফটওয়ার একত্রীকরণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ শিক্ষা ও দক্ষতা থাকতে হয়। কম্পিউটার প্রকৌশলীরা রোবোটিক্স গবেষণার জন্য উপযুক্ত, যা বিভিন্ন তড়িৎ সিস্টেম যেমন মোটর, যোগাযোগব্যবস্থা, সেন্সর প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণে ডিজিটাল সিস্টেমের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। 

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে সাধারণ ও বিশেষ কম্পিউটারের জন্য সফটওয়ার তৈরি করা, এমবেডেড মাইক্রোকন্ট্রোলারের জন্য ফার্মওয়ার লিখা, বিভিন্ন ভিএলএসআই চিপ ডিজাইন, বিভিন্ন এনালগ সেন্সর ডিজাইন, বিভিন্ন সার্কিট বোর্ড ডিজাইন এবং অপারেটিং সিস্টেম ডিজাইন ইত্যাদি। এর প্রধান কোর্স হচ্ছে প্রোগ্রামিং। কম্পিউটার সায়েন্স বললে অবধারিত ভাবে প্রথমেই চলে আসে প্রোগ্রামিং। প্রোগ্রামিং হলো কম্পিউটারকে কথা শুনানোর উপায়। কম্পিউটার যেহেতু মানুষের ভাষা বুঝেনা তাকে বোঝাতে হয় বিশেষ ভাষায় যাকে বলে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। তবে, এই কোর্সটি এতটা সহজ নয়। আপনাকে এই কোর্সটি যত্নবান হয়ে করতে হবে, তবেই আপনি এই ক্ষেত্রে নিজের উন্নতি করতে পারবেন।

কেন কম্পিউটার সায়েন্সে পড়বেন ?

কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ার অনেক কারণ রয়েছে। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

  • তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে প্রচুর কাজের সুযোগ: সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার ফলে বেকারত্বের হার বেড়েই চলেছে। তবে কম্পিউটার সায়েন্স এবং তথ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এটি পুরোপুরি ব্যতিক্রম। প্রকৃতপক্ষে, কম্পিউটার সায়েন্স এবং তথ্য ও প্রযুক্তির চাকুরীর বাজার প্রতিনিয়ত ক্রমবর্ধমান হচ্ছে।
  • উচ্চ বেতনের নিশ্চয়তা প্রদান করে: কম্পিউটার সায়েন্স চাকুরীর নিশ্চয়তা প্রদানের পাশাপাশি চমৎকার বেতনের নিশ্চয়তাও প্রদান করে থাকে।
  • চমৎকার সন্তুষ্টি: কম্পিউটার সায়েন্স বা তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে চাকুরীর জন্য কেবলমাত্র অর্থই একমাত্র প্রত্যাশিত বস্তু নয়। অন্যান্য চাকুরীর তুলনায় এই খাতের চাকুরীতেই সবচেয়ে কাজের সন্তুষ্টি পাওয়া যায়।
  • এটি বৈচিত্র্যপূর্ণ ক্যারিয়ার: কম্পিউটার প্রযুক্তি আজকাল প্রায় সকল কাজের অংশ হয়ে দাড়িঁয়েছে। অর্থাৎ কম্পিউটারের ব্যবহারের ছাড়া কোন কাজই সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। কম্পিউটার ডিগ্রীর মাধ্যমে আপনি প্রোগ্রামিং, ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনা, নেটওয়ার্কিং ও ডেস্কটপ সমর্থন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পারবেন। যা আপনার জীবনকে বৈচিত্র্যময় করে তুলতে পারে।
  • বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বস্থানে পৌছুতে পারবেন: কম্পিউটার সায়েন্স ডিগ্রী অর্জন করতে অনেক বেশি ব্যবহারিক ক্লাস করতে হয়। তার মানে এই নয় যে এটি অত্যন্ত কঠিন ও জটিল। আর ব্যবহারিক ক্লাসে আপনি শুধু মাত্র তত্ত্বই শিখতে পারবেন না, কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি ও পরিবর্তন করাও শিখতে পারবেন। আপনি যখন পেশাদারী জীবন শুরু করবেন তখন সারা বিশ্বের মানুষের নিকট আপনার তৈরি জিনিস গুলো পৌছেঁ দিতে পারবেন।
  • অধ্যয়নকালীন সময়েও আয় করতে পারবেন: আপনার অর্জিত দক্ষতা গুলো কাজে লাগিয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায়ই আপনি আয় করা শুরু করতে পারেন। আর এ জন্য আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। তাছাড়া আপনি আপনার এলাকায় তথ্য ও প্রযুক্তি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করে বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট পরিসেবা প্রদান করেও আয় করা শুরু করতে পারেন।
  • যুক্তি ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা: কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকেন। আর এই দক্ষতা গুলো আপনি আপনার বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে প্রয়োগ করতে পারেন।

কম্পিউটার সায়েন্সে ক্যারিয়ার সম্ভাবনা

একজন ভাল কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বা প্রোগ্রামার হতে পারলে দেশে ও দেশের বাইরে রয়েছে চাকরির ব্যাপক সুযোগ। সিএসই শিক্ষার্থীদের বড় প্রতিষ্ঠানে ভালো পজিশনে চাকরি পেতে হলে প্রোগ্রামিংয়ে ভালো দখল থাকতে হবে। মূলত সি++, জাভা প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতা, ডাটা স্টাকচার, আলগরিদম, ডাটাবেজ ও সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে আবেদনকারীর ভালো দখল আছে কিনা বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তা যাচাই করে। এছাড়া বিদেশী প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে ইংরেজিতে কতটা দখল আছে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। উল্লেখ যোগ্য কাজের ক্ষেত্র সমূহ ‍নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ-

  • সিকিরিওটি বিশ্লেষক
  • ডাটা সাইনটিস্ট
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্লেষক
  • গেম ডেভেলপার
  • সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
  • আইটি কনসাল্টেন্ট
  • সফটওয়্যার ডেভেলপার
  • ডাটাবেজ পরিচালক
  • কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
  • কম্পিউটার সিস্টেম বিশ্লেষক
  • কম্পিউটার নেটওয়ার্ক নির্মাতা
  • ওয়েব ডেভেলপার
  • তথ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষক
  • কম্পিউটার সিস্টেম ও ইনফরমেশন ম্যানেজার
  • কম্পিউটার প্রোগ্রামার

কেমন যোগ্যতা চাই

চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হতে হলে একজন শিক্ষার্থীর অবশ্যই বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা থাকতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছে তারা এই বিভাগে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভর্তির যোগ্যতা ও অন্যান্য নিয়ম ভিন্ন। তাই যার যে বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিস্তারিত তথ্যাবলী জেনে নিতে হবে। কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে হলে সবচেয়ে যে বিষয়টি গুরুত্ত দিতে হবে তা হল-

  • গনিতে দক্ষতা
  • লজিকাল অপারেশন
  • ইলেক্ট্রনিক্স
  • পরিশ্রম
  • ধৈর্য

কোথায় পড়বেন

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য বাংলাদেশে যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি করেছে। বাংলাদেশে যতগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে; এর মধ্যে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের ‘সিএসই’ বিভাগ ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) স্বীকৃতির আওতাভুক্ত:-

  1. নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
    ফোন: ৮৮৫২০০০,
    ওয়েবসাইট: www.northsouth.edu
  2. ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
    ফোন: ৮৮২৪০৫১-৪,
    ওয়েবসাইট: www.bracuniversity.ac.bd
  3. আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি)
    ফোন: ৯৮৯৭৩৮৭, ৯৮৯৪২২৯
    ওয়েবসাইট: www.aiub.edu
  4. ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
    ফোন: ৯৮৮২৩০৮,
    ওয়েবসাইট: www.ewubd.edu
  5. ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)
    ফোন: ৯১২৫৯১২-৬,
    ওয়েবসাইট: www.uiu.ac.bd
  6. ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক
    ফোন: ৯৬৬৪৯৫২,
    ওয়েবসাইট: www.uap-bd.edu
  7. ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
    ফোন: ৯১৩৮২৩৪-৫
  8. গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
    ফোন: ০১৭৫৭০৭৪৩০১, ০১৭৫৭০৭৪৩০২
    ০১৭৫৭০৭৪৩০৩, ০১৭৫৭০৭৪৩০৪
    ওয়েবসাইট: www.green.edu.bd
  9. স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি
    ফোন: ৮১৫৩১৬৮-৬৯,
    ওয়েবসাইট: www.stamforduniversity.edu.bd
  10. ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব)
    ফোন: ৯৬৬-১৩০১, ০১৭১৪১৬১৬১৩
    ওয়েবসাইট: www.ulab.edu.bd



Friday, May 14, 2021

দেশবাসী আজ ঈদ উদযাপন ............ঈদে বন্ধ চিড়িয়াখানার.............!

 দেশবাসী আজ ঈদ উদযাপন করছে। এমন দিনে রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

ঈদের দিনে ৫ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির আভাস।

আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে মাইজদি কোর্টে ৫৮ মিলিমিটার।

পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ দেশের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র। এরই অংশ হিসেবে বন্ধ আছে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা। প্রতি বছর ঈদের দিনে চিড়িয়াখানায় মানুষের ঢল নামে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরের মতো এবার ঈদেও বন্ধ চিড়িয়াখানা। তবে বিষয়টি জানা না থাকায় সেখানে আজ অনেক মানুষ ভিড় করছেন। গেট বন্ধ পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন শত শত মানুষ।

শুক্রবার (১৪ মে) সকাল ৮টার পর থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেখা যায়, চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসে বন্ধ দেখে অনেকেই এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।











Wednesday, May 12, 2021

নানা উদ্যোগের পরও ঠেকানো যাচ্ছে না ঘরে ফেরা...........!

 করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবার ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সরকারি-বেসরকারি চাকুরেদের কর্মস্থলে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে ঘরমুখো মানুষের ঢল থামানো যাচ্ছে না। এমনকি ফেরিতে হুড়োহুড়িতে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ থাকলেও সরকারের দুর্বল তদারকি ও নির্দেশনার অস্পষ্টতায় মানুষকে কর্মস্থলে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই লকডাউনসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও আগামী দিনগুলোতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বৃহস্পতি বা শুক্রবার (১৩ বা ১৪ মে) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। যদিও করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ (লকডাউন) চলছে এখন। লকডাউন বহাল থাকবে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত।

গত ৫ মে সর্বশেষ বিধিনিষেধ বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করবেন।

একই সঙ্গে মানুষের চলাচল ঠেকাতে আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। বন্ধ আছে ট্রেন ও লঞ্চ। মানুষকে কর্মস্থলে রাখতে ঈদের ছুটি কমিয়ে ২৯ রমজানেও অফিস খোলা রেখেছে সরকার।

সরকারের পক্ষ থেকে ঈদে তিনদিনের বেশি ছুটি দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও ছুটি বাড়াতে আন্দোলনে নামেন পোশাকশ্রমিকরা। আন্দোলনের মুখে ঈদের ছুটি বাড়িয়ে দিচ্ছেন কারখানার মালিকরা। জানা গেছে, অধিকাংশ পোশাক কারখানাই ৫ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে।

গত কিছুদিন থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করে মানুষ। জেলার মধ্যে চলাচল করা বাসের মাধ্যমে মানুষ চলে যাচ্ছেন ফেরিঘাটগুলোতে কিংবা জেলার প্রান্তে। ফেরি পার হয়ে কিংবা গাড়ি পাল্টে পৌঁছে যাচ্ছেন গন্তব্যে।

কিন্তু ব্যক্তিগত গাড়িতে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনো কিছু বলা নেই সরকারের প্রজ্ঞাপনে। তাই অনেকে মাইক্রোবাস ভাড়া করে বা প্রাইভেটকার নিয়ে শহর ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন ঈদ উদযাপনের জন্য। চালু আছে বিমান যোগাযোগও। লুকিয়ে আন্তঃজেলা বাস চালাচলেরও খবর আসছে গণমাধ্যমে। ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ পণ্যবাহী বিভিন্ন গাড়িতেও রাজধানী ছাড়ছেন অনেকে।

মানুষের চলাচল ঠেকাতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হলেও পরে মানুষের চাপে সেই সিদ্ধান্তে স্থির থাকতে পারেনি সরকার।

বুধবার (১২ মে) প্রচণ্ড ভিড়ে ফেরিতে করে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজারে যাওয়ার পথে হুড়োহুড়িতে ছয়জন মারা গেছেন। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক।

এ বিষয়ে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লা জাগো নিউজকে বলেন, ‘মানুষকে কর্মস্থলে আটকে রাখা যাচ্ছে না। মানুষ যেভাবে গাদাগাদি, হুড়োহুড়ি করে যাচ্ছে, তাতে তো স্বাস্থ্যবিধি মানা হলো না। কারো কারো মুখে মাস্ক নেই। এর মধ্যে একজনের সংক্রমণ থাকলে তিনি তা ছড়াবেন। যারা আক্রান্ত হবেন তারা আবার অন্যদের সংক্রমিত করবেন।’

তিনি বলেন, ‘তাই আমাদের ধারণা হচ্ছে, এই পরিস্থিতির পর চলতি মাসের শেষের দিকে বা আগামী মাসের শুরুর দিকে করোনা সংক্রমণটা আবার বাড়তে পারে।’

কারিগরি কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘শহর ছেড়ে গ্রামে ঈদ করতে যাওয়া ঠেকাতে সরকারের তদারকি ব্যবস্থা দুর্বল। বিভিন্ন বিধিনিষেধ থাকলেও তা মানানোর পর্যাপ্ত লোকবল নেই সরকারের। আর গাড়ি চলাচলের বিষয়ে নির্দেশনাটাও আরও স্পষ্ট হওয়ার দরকার ছিল। দূরপাল্লায় চলাচলের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়া যেত।’

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, যে যেখানে কাজ করেন সেখানেই থাকবেন। কেউ স্টেশন লিভ করতে পারবেন না। যারা যাচ্ছেন, তারা সবাই চাকরি করেন তা নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে মাস্ক পরাতে সফল হয়েছি। আমরা মানুষকে যেখানে আছে সেখানে রাখতেও সক্ষম হয়েছি। তবে কিছু মানুষকে কখনই কোনো কিছু মানানো সম্ভব নয়। তারা অবুঝ।’

‘যারা যাচ্ছেন বুঝতে পারছেন না যে, তিনি তার মায়ের জন্য করোনা নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি তার প্রিয় মাকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারেন।’

শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে ছুটি বাড়ছে- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মালিকরাও ছুটি বাড়াতে চান। আমরা মানুষের কল্যাণ চাচ্ছি। একটা ওয়ার লাইফ সিচুয়েশন বিরাজ করছে এখন। ভারতের অবস্থাটা দেখেন। নদীতে লাশ ভেসে আসছে। সন্তান তার পিতাকে দাফন করতে পারেনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এই সিচুয়েশনে সকলে আমাদের সহযোগিতা করুক। কিন্তু কিছু সংখ্যক লোক আছে কখনও কিছু শুনবেই না।’

ব্যক্তিগত গাড়িতে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাওয়ার বাধা নেই- এ বিষয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘নেগেটিভ মার্কেটিং বলে একটি বিষয় আছে। জেলার মধ্যে গাড়ি ছেড়ে দেয়ার পর মানুষের চলাচল বেড়ে গেল। আর দূর পাল্লার গণপরিবহন ছেড়ে দিলে তখন কী হতো? এখন হয়তো এভাবে কিছু যাচ্ছে।’

‘ব্যক্তিগত গাড়িতে যাওয়া তো ব্যয় বহুল। আমরা তো মানুষকে স্থানান্তরে নিরুৎসাহিত করছি। নেগেটিভ মার্কেটিং করে আমরা বলতে চাচ্ছি, আপনি কর্মস্থলেই থাকুন, এটাই আপনার জন্য ভালো।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগে ট্রেনগুলো ভরে, লঞ্চ ভরে, দূর পাল্লার বাসগুলো ভরে মানুষ গ্রামে যেতেন, এবার সেটা হচ্ছে না। আমি বলব ৯০ শতাংশ মানুষ আমাদের আহ্বানে সারা দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ঈদের সময় স্টেশন লিভ করব না। আমি ঢাকাতেই আছি। আমি আমার এলাকার জনগণকে বলেছি, যে যার জায়গায় থাকেন। যে কোনো কাজে ডিজিটালি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’




Friday, May 7, 2021

ঈদের আগে দূরপাল্লার পরিবহন চালানোর ঘোষণা ... !

 ঈদের আগে গণ ও পণ্যপরিবহন চালু করে দেওয়াসহ পূর্ব ঘোষিত তিন দফা দাবি পূরণ করা না হলে শ্রমিকদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

মঙ্গলবার ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী এ হুঁশিয়ারি দেন। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূর পাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যপরিবহন চলাচল ঘোষণা করাসহ তিন দফা দাবি আদায়ে আজ সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয় সংগঠনটি।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবহন চালু করে দেওয়ার জন্য ফেডারেশনের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হচ্ছে- স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন ও পণ্যপরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।

সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হবে। সারাদেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএস’র চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।

এসব দাবি বাস্তবায়নে গত ২ মে রবিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও মঙ্গলবার (৪ মে) সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত শ্রমিকদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছাদিকুর রহমান হিরু। এতে সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বক্তব্য দেন।





দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল .... ফোরকান

  অনলাইনে বিভিন্ন সিক্রেট অ্যাপ ব্যবহার করে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিতেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদ হাসান ওরফে রাজু ওরফে ইসমাঈল ...