Monday, October 5, 2020

আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে আদিবাসী সাঁওতাল মেয়ে সহ আটক ৬.

 গতকাল দিনাজপুর শহরের জাবেদ ইন্টার্নেশনাল আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করার দায়ে হোটেল ম্যানেজার ও হোটেলবয় সহ দুই জোড়া কপোত-কপোতি কে আটক করে কতোয়ালি থানা পুলিশ। ৪ অক্টোবর রবিবার দুপুরে শহরের বাহাদুর বাজার এলাকার জাবেদ সুপার মার্কেটের ৩য় তলায় জাবেদ ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলে ঘন্টাব্যাপি অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করার দায়ে তাদের আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আটককৃত কপোত-কপোতিরা হলেন- পার্বতীপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকার মৃত মফেজ কাপুড়িয়ার ছেলে বাচ্চু আলী লিমন (২৭)। একই উপজেলার শিমুল ঝারী এলাকার আলব্রীকুস হাঁসদার মেয়ে লতা হাঁসদা (২০)। জেলার কাহারোল উপজেলার উচিতপুর এলাকার মিজানুর রহমান আশিক (২৮)। একই উপজেলার তানিয়া মহন্ত (১৮)। ও এছাড়া হোটেল ম্যানেজার আব্দুর রহিম রাকিব (৪০)। ও হোটেল বয় ফারুক হোসেন (২৮)। উক্ত ঘটনায় পুলিশ ইন্সপেক্টর মোঃ জিয়াউল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি শহরের বাহাদুর বাজার এলাকার জাবেদ ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। এ সময় পুলিশের একটি দল আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ২ জোড়া কোপত কোপতি, হোটেল ম্যানেজার ও বয় সহ ৬ জনকে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে হোটেল মালিক মোজাফফর হোসেনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।



Friday, October 2, 2020

ধর্ষক ফাদারকে পালাতে সহায়তা করে আদিবাসি নেতা.......কামেল মার্ডী.

 আদিবাসি কিশোরীকে আটক রেখে ধর্ষনের তিন দিন পর জানাজানি হয়ে পড়লে নিজে বাচার জন্য প্রথমেই তানোর উপজেলা পারগানা পরিষদের সভাপতি আদিবাসি মি:কামেল মার্ডীকে ডেকে নেন গীর্জার ফাদার প্রদিপ গ্যা গরী।

বিষয়টি ধাপাচাপা দিতে কামেল মার্ডীকে ম্যানেজ করে অতি গোপনে শালিসির বৈঠক করার প্রস্তাব দেন ফাদার। তার প্রস্তাবে সাই দিয়ে শালিসে বসার আয়োজন করেন কামেল মার্ডী।

এবং দ্রতগতিতে লোক দেখানো শালিস করে তরিঘরি করে ফাদার গীর্জা থেকে পাঠানোর ব্যব’া করেন কামেল মার্ডী।

এজন্য সোমবার দুপুর নাগাদ রাজশাহী ধর্ম প্রদেশে থেকে মুন্ডুমালা গীর্জায় আসেন তিন জন প্রতিনিধি,কামেল মার্ডী মিসন পাড়া দুইজন গ্রাম্য প্রধান ডেকে নেন। এবং কিশোরীর পরিবারকে উপ¯ি’ত করেন ফাদারের বাস ভবনে।

শালিসে কামেল মার্ডী ফাদারে সাজানো রায় পড়ে কিশোরীর পরিবার শোনান এবং বোঝান। শালিসি রায়ে বলা হয়,কিশোরী লেখাপড়া ও ভরণ পোষন গীর্জা থেকে বহন করা হবে। এবং সে এখন থেকে গীর্জার সিসটারদের ভবনে সে থাকবে।

এ রায় না মানলে কিশোরীর পরিবারকে ধর্মশালায় আসতে দেওয়া হবেনা। প্রয়োজনে সমাজ থেকে বিতারিত করা হবে বলে ঘোষনা দেন কামেল মার্ডী।

এমন রায় শুণে ভয়ে কিশোরীর রেখেই চলে আসে পরিবার। পরে সোমবার সন্ধায় রাজশাহী ধর্ম প্রদেশের তিনজন প্রতিনিধি সঙ্গে ফাদার প্রদিপকে পাঠিয়ে দেন। এবং তাকে পরিবেশ শান্ত না হওয়া পর্যন্ত রাজশাহী থেকে না আসার কথা বলা হয়। তার কথা মত ফাদার সেই দিনেই সটকে পড়েন।

শালিসে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন ও কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা সে দিনে শালিসের ঘটনার বর্ণনা দেন সাংবাদিকদের কাছে। মিশন পাড়ার কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,কামেল মার্ডী আদিবাসি নেতা হলেও তিনি স্বাথ্য কাছে তার নিতি বেচে দিতে দিধা করেনা। সে অর্থ লোভী ফাদারের কাছে মোটা অংকের অর্থ পেয়ে তাকে পালাতে সহযোগিতা করেন। তাকেও আইনের আওতাই আনার দাবি জানান তারা।

তবে,এসব বিষয়ে আদিবাসি নেতা কামেল মার্ডী মঙ্গলবার বিকালে সংবাদ কর্মীদের কাছে বলেন,তিনি শালিসে যা রায় দিয়েছেন তা কিশোরীর কথা চিন্তা করে করেছেন বলে জানান।

তিনি আরো বলেন, নির্যাতিন কিশোরী ভরণ পোষন ও লেখাপড়া খরচ বহন করার তারা প্রতিশ্রতি দিয়েছেন। তাই কিশোরীকে তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছিল। কারণ সমাজ বলে একটি কথা আছে। কিশোরীকে তার বাবা মায়ের কাছে দিয়ে সে যদি আত্মহত্যার মত ঘটনা ঘটিয়ে দেন তার দায় কে নিবে।

আর ফাদারের কে পালাতে সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, ফাদার কে পালাতে সহযোতিা করার বিষয়টি পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য করা হয়েছিল।



Thursday, October 1, 2020

কিশোরীকে ধর্ষণের পর বিশপ হাউসে লুকালেন ফাদার !

 রাজশাহীর তানোরে গির্জায় কিশোরীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় বিশপ হাউসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অভিযুক্ত ফাদার। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরীর নওদাপাড়া এলাকার বিশপ হাউস থেকে প্রদীপ গ্যাগরী (৫০) নামে ওই ফাদারকে পাকড়াও করেছে র‌্যাব।

এর আগে সন্ধ্যায় উপজেলার মুণ্ডুমালা মাহালীপাড়া এলাকার সাধুজন মেরী ভিয়ান্নী গির্জায় ফাদারের কক্ষ থেকে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনার শিকার ওই কিশোরী মুণ্ডুমালা মাহালীপাড়ার বাসিন্দা। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে গির্জার পাশে ঘাস কাটতে গিয়েছিল ওই কিশোরী। তারপর থেকে সে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খুঁজেও তার সন্ধান পায়নি পরিবার। পরে এনিয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করেন নিখোঁজের ===== বড়ভাই।

এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে প্রভাবশালীদের নিয়ে গির্জায় সালিশ বৈঠক করেন ধর্মীয় নেতারা। সেখানে ওই কিশোরীকেই ঘটনার জন্য দোষারোপ করেন।

পরে তার পরিবারকে সমাজচ্যুত করেন প্রভাবশালীরা। সেখানে ফাদার প্রদীপকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন ধর্মীয় নেতারা।

খবর পেয়ে সন্ধ্যায় তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো গির্জা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। রাতে ওই কিশোরীর ভাই ফাদারকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর ঘটনা ভিন্ন দিকে মোড় নেয়।

র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর কোম্পানি অধিনায়ক এটিএম মাইনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেফতার এড়াতে প্রদীপ গ্যাগরী নওদাপাড়া বিশপ হাউসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। খবর পেয়ে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর তাকে তানোর থানায় সোপর্দ করা হয়।

তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান জানান, গ্রেফতার ফাদারকে ওই মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

এছাড়া শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে বুধবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এনিয়ে আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান ওসি।



দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল .... ফোরকান

  অনলাইনে বিভিন্ন সিক্রেট অ্যাপ ব্যবহার করে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিতেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদ হাসান ওরফে রাজু ওরফে ইসমাঈল ...