আদিবাসি কিশোরীকে আটক রেখে ধর্ষনের তিন দিন পর জানাজানি হয়ে পড়লে নিজে বাচার জন্য প্রথমেই তানোর উপজেলা পারগানা পরিষদের সভাপতি আদিবাসি মি:কামেল মার্ডীকে ডেকে নেন গীর্জার ফাদার প্রদিপ গ্যা গরী।
বিষয়টি ধাপাচাপা দিতে কামেল মার্ডীকে ম্যানেজ করে অতি গোপনে শালিসির বৈঠক করার প্রস্তাব দেন ফাদার। তার প্রস্তাবে সাই দিয়ে শালিসে বসার আয়োজন করেন কামেল মার্ডী।
এবং দ্রতগতিতে লোক দেখানো শালিস করে তরিঘরি করে ফাদার গীর্জা থেকে পাঠানোর ব্যব’া করেন কামেল মার্ডী।
এজন্য সোমবার দুপুর নাগাদ রাজশাহী ধর্ম প্রদেশে থেকে মুন্ডুমালা গীর্জায় আসেন তিন জন প্রতিনিধি,কামেল মার্ডী মিসন পাড়া দুইজন গ্রাম্য প্রধান ডেকে নেন। এবং কিশোরীর পরিবারকে উপ¯ি’ত করেন ফাদারের বাস ভবনে।
শালিসে কামেল মার্ডী ফাদারে সাজানো রায় পড়ে কিশোরীর পরিবার শোনান এবং বোঝান। শালিসি রায়ে বলা হয়,কিশোরী লেখাপড়া ও ভরণ পোষন গীর্জা থেকে বহন করা হবে। এবং সে এখন থেকে গীর্জার সিসটারদের ভবনে সে থাকবে।
এ রায় না মানলে কিশোরীর পরিবারকে ধর্মশালায় আসতে দেওয়া হবেনা। প্রয়োজনে সমাজ থেকে বিতারিত করা হবে বলে ঘোষনা দেন কামেল মার্ডী।
এমন রায় শুণে ভয়ে কিশোরীর রেখেই চলে আসে পরিবার। পরে সোমবার সন্ধায় রাজশাহী ধর্ম প্রদেশের তিনজন প্রতিনিধি সঙ্গে ফাদার প্রদিপকে পাঠিয়ে দেন। এবং তাকে পরিবেশ শান্ত না হওয়া পর্যন্ত রাজশাহী থেকে না আসার কথা বলা হয়। তার কথা মত ফাদার সেই দিনেই সটকে পড়েন।
শালিসে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন ও কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা সে দিনে শালিসের ঘটনার বর্ণনা দেন সাংবাদিকদের কাছে। মিশন পাড়ার কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,কামেল মার্ডী আদিবাসি নেতা হলেও তিনি স্বাথ্য কাছে তার নিতি বেচে দিতে দিধা করেনা। সে অর্থ লোভী ফাদারের কাছে মোটা অংকের অর্থ পেয়ে তাকে পালাতে সহযোগিতা করেন। তাকেও আইনের আওতাই আনার দাবি জানান তারা।
তবে,এসব বিষয়ে আদিবাসি নেতা কামেল মার্ডী মঙ্গলবার বিকালে সংবাদ কর্মীদের কাছে বলেন,তিনি শালিসে যা রায় দিয়েছেন তা কিশোরীর কথা চিন্তা করে করেছেন বলে জানান।
তিনি আরো বলেন, নির্যাতিন কিশোরী ভরণ পোষন ও লেখাপড়া খরচ বহন করার তারা প্রতিশ্রতি দিয়েছেন। তাই কিশোরীকে তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছিল। কারণ সমাজ বলে একটি কথা আছে। কিশোরীকে তার বাবা মায়ের কাছে দিয়ে সে যদি আত্মহত্যার মত ঘটনা ঘটিয়ে দেন তার দায় কে নিবে।
আর ফাদারের কে পালাতে সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, ফাদার কে পালাতে সহযোতিা করার বিষয়টি পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য করা হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment